0 ক্ষোভে ফুঁসছে দেশ : মাহমুদুর রহমানের মুক্তি ও আমার দেশ প্রেস খুলে না দিলে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি

দৈনিক আমার দেশ-এর নির্ভীক সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার ও ১৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে লাখো-কোটি মানুষ। অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের ঝড় বইছে দেশজুড়ে। কেবল দেশেই নয়, বিশ্বের দেশে দেশে প্রবাসী বাংলাদেশীরা প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ইসলামি মূল্যবোধ রক্ষায় আপসহীন সিপাহসালার মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি না দিলে গোটা দেশ অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো দেশজুড়ে প্রচণ্ড বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন দল, সংগঠন ও মাহমুদুর রহমানের ভক্ত অনুরাগীরা। রসুল (সা.)-এর অবমাননাকারী নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তিসহ পূর্বঘোষিত ১৩ দফার পাশাপাশি আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি ও পত্রিকাটির প্রেস খুলে দেয়ার দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ করেছে হেফাজতে ইসলামের লাখো তৌহিদি জনতা। এসব দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হয় মহাসমাবেশ। এছাড়া চট্টগ্রাম, রাজধানী ঢাকা, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাদ জুমা বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এসব সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ৬ এপ্রিল ঢাকায় তৌহিদি জনতার মহাজাগরণ দেখে সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। দেশের ৯০ ভাগ মুসলমানের কথা চিন্তা না করে সরকার গুটিকয়েক ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক-মুরতাদকে রক্ষায় মরিয়া হয়ে উঠেছে। আল্লাহ, মহানবী ও ইসলাম ধর্মকে কটূক্তিকারী নাস্তিক ব্লগারদের গ্রেফতার না করে তাদের অপকর্ম ফাঁসকারী আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করে সরকার প্রমাণ করেছে তারা নাস্তিক-মুরতাদদেরই সরকার। তারা সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, আগে আমাদের দাবি ছিল ১৩টি। এখন তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাহমুদুর রহমানের মুক্তি ও আমার দেশ পত্রিকার বিরুদ্ধে সরকারি ষড়যন্ত্র বন্ধ করা। এই ১৪ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তৌহিদি জনতা ঘরে ফিরে যাবে না। অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি না দিলে সারা দেশ অচল করে দেয়া হবে। প্রয়োজনে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।
চট্টগ্রামে লাখো তৌহিদি জনতার বিক্ষোভ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি না দিলে কঠোর কর্মসূচি : চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, আমার দেশ পত্রিকা বন্ধের ষড়যন্ত্র ও নির্ভীক সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ এবং ১৩ দফা দাবিতে গতকাল বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল চট্টগ্রাম। হেফাজতে ইসলামের ডাকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে জুমার নামাজ শেষে শান্তিপূর্ণ মিছিল-সমাবেশে অংশ নিয়েছেন লাখো তৌহিদি জনতা। এতে হেফাজতে ইসলাম নেতারা সরকারের প্রতি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি ও আমার দেশ পত্রিকার ছাপাখানা খুলে দেয়ার আলটিমেটাম দিয়ে বলেন, অন্যথায় দুর্বার আন্দোলনের পাশাপাশি সরকারের অর্থে লালিত দালাল পত্রিকাগুলোকে চট্টগ্রাম ঢুকতে দেয়া হবে না।
তারা হেফাজতে ইসলামের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে বলেন, নাস্তিক মুরতাদদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ওপর দমন-নিপীড়ন চালিয়ে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। আগের ১৩ দফা দাবির সঙ্গে মাহমুদুর রহমানের মুক্তি ও আমার দেশ-এর বিরুদ্ধে সরকারি ষড়যন্ত্র বন্ধ করাসহ এখন মোট দাবি দাঁড়ালো ১৪টি। এই ১৪ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তৌহিদি জনতা ঘরে ফিরে যাবে না।
জুমার নামাজ শেষে নগরীর আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদের সামনের সড়কে সমবেত হন লক্ষাধিক তৌহিদি জনতা। সমাবেশ শেষে প্রায় দেড় কিলোমিটার লম্বা বিক্ষোভ মিছিল সিরাজউদ্দৌলা রোড হয়ে চকবাজার অলিখাঁ মসজিদের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
হেফাজতে ইসলাম কেন্দ্রীয় অর্থসম্পাদক মাওলানা ইলিয়াস ওসমানীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাহিত্য ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি হারুন ইজহার, হেফাজতে ইসলাম নেতা মাওলানা আসগর হোসাইন, মিয়া মুহাম্মদ শরীফ, মাওলানা মুজ্জাম্মেল হক, মাওলানা জালাল, মুফতি আবদুল ওয়াহহাব, খন্দকার মুহাম্মদ হামিদুল্লাহ, মুহাম্মদ আনোয়ার রব্বানী, মুহাম্মদ ফয়সাল তাজ, মাওলানা ইকবাল খলিল, মুহাম্মদ ইউনুস, মাওলানা আহমদুল্লাহ, মুহাম্মদ জয়নাল কুতুবী, মাওলানা কুতুবুদ্দিন, মুহাম্মদ সগির আহমদ, জাগপা নেতা আবু মোজাফর মুহাম্মদ আনাস প্রমুখ।
হাটহাজারীতে সমাবেশ, মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি না দিলে সোমবার থেকে দেশব্যাপী হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি : হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, হাটহাজারী উপজেলা হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে বিশাল এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন, মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি দেয়া না হলে দেশব্যাপী আগামী সোমবার হরতালসহ আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। আমরা অবিলম্বে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবি ও ছাপাখানা খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
জুমার নামাজের পর হাটহাজারী ডাকবাংলো চত্বর থেকে জমায়েত হয়ে হাটহাজারী বাজার, কাচারি সড়ক, কলেজগেট, রাঙামাটি সড়ক হয়ে ডাকাবাংলো চত্বরে এসে বিশাল সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলামে সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জি। প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোট নেতা মাওলানা নাছির উদ্দীন মুনির। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাওলানা জাহাঙ্গীর মেহেদী, মাওলানা জামাল উদ্দীন, মো. শফি মাওলানা মাহমুদুল হুসাইন, শোয়েব মুরশেদ, মাওলানা ইমরান সিকদার, মো. মোরশেদ আলম, মাওলানা নিজাম সাঈদ, মাওলানা আবদুর রহিম, মাওলান আশ্রাফ বিন ইয়াকুব, মাওলানা বেলাল, নুর মোহাম্মদ, মো. রাশেদ প্রমুখ।
এদিকে মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে হাটহাজারী উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে পৃথক এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন থানা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দীন।
রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ : রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের নেতারা বলেন, আওয়ামী সরকার নাস্তিক-মুরতাদদের খুশি করতেই আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে। তাকে গ্রেফতারের মাধ্যমে এদেশের মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। লংমার্চের গণজাগরণ দেখে হানিফ ও সৈয়দ আশরাফরা আবল-তাবল বলছেন। হেফাজতে ইসলাম ও ১৩ দফা দাবি নিয়ে তারা যেসব আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন তা প্রত্যাহার না করলে জনগণ তাদের এদেশে থাকতে দেবে না। অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি না দিলে সারাদেশ অচল করে দেয়া হবে। হেফাজতের ১৩ দফা না মানলে ৫ মে ঢাকা অবরোধের মাধ্যমে সরকারকে দাবি পূরণে বাধ্য করা হবে বলেও হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা। গতকাল বেলা ৩টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উল্টো দিকে হাউজ বিল্ডিং চত্বরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে হেফাজতের উপদেষ্টা ও খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা শাহ আহমদুল্লাহ আশরাফ বলেন, বর্তমান সরকারের সবাই পাগল হয়ে আবল-তাবল বলছেন। শেখ হাসিনা পাগলিনী। সবাই মিলে তাকে খাঁচায় ঢোকাতে হবে, নইলে সবাইকে সে কষ্ট দেবে। তিনি বলেন, আল্লাহ ও রাসুল (সা.)-এর বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীদের তথ্য প্রকাশ এবং হক কথা বলায় আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা মাহমুদুর রহমানের জবান বন্ধ করে দিতে চায়, তাদের গোষ্ঠীর জবান বন্ধ হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগের ভাইয়েরা তওবা করে পাগলিনী হাসিনাকে ছাড়েন, নইলে ঈমান নিয়ে থাকতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের সবাই মিথ্যুক। জনগণ আর তাদের ভোট দেবে না, প্রত্যাখ্যান করবে।
খেলাফত মজলিসের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেন, ৬ এপ্রিলের লংমার্চের পর সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। হেফাজতের ১৩ দফা নিয়ে ধোঁকাবাজি করা হচ্ছে। সাহসী সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানকে রিমান্ডে নিয়ে সরকার পার পাবে না। অচিরেই জনগণ এর জবাব দেবে।
হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ বলেন, বর্তমান সরকার নাস্তিক-মুরতাদদের বন্ধুতে পরিণত হয়েছে। কারণ মাহমুদুর রহমান নাস্তিক-মুরতাদদের বিরুদ্ধে নির্ভয়ে কলমযুদ্ধ করেছেন, তাদের মুখোশ উন্মোচন করেছেন। সরকারের কোরআন-সুন্নাহবিরোধী সব কার্যক্রম প্রকাশ করেছেন। ধর্মদ্রোহের মুখোশ উন্মোচন ও নাস্তিক ব্লগারদের রিবুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার কারণেই মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকার মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, হেফাজতের ১৩ দফা না মেনে এদেশের মসনদে কেউ থাকতে পারবে না। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত নাস্তিকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবেই।
মুফতি মুহাম্মদ তৈয়্যব বলেন, মাহমুদুর রহমান দেশ, ইসলাম ও মুসলমানদের পক্ষে কথা বলেন। এ জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমার দেশ বন্ধের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। মাহমুদুর রহমানকে থাকতে হবে, নইলে ৫ মে দেশ অচল করে দেয়া হবে।
সভাপতির বক্তব্যে হেফাজতের ঢাকা মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী বলেন, শাহবাগিদের লাঠি মিছিলের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, ইসলাম জঙ্গি নয়, শাহবাগিরাই জঙ্গি। মাহমুদুর রহমান ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র ছিলেন, এ জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবিলম্বে তাকে মুক্তি না দিলে জেলের তালা ভেঙে মুক্ত করে আনা হবে। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা শফিক উদ্দিন, অধ্যাপক আবদুল করিম, মাওলানা আহমদ আলী, মাওলানা মুসা বিন ইজহার, মাওলানা জুনাইদ গুলজার, মাওলানা আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা রেদওয়ান বারী সিরাজী, মাওলানা নূর হোসেন, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা তসলিম আহমদ, খোরশেদ আলম, আবদুল হাফিজ খসরু প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে বিশাল একটি মিছিল বের হয়ে দৈনিক বাংলা, মতিঝিল শাপলা চত্বর হয়ে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এসে শেষ হয়। এ সময় মিছিলের সামনে ও পেছনে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।
খুলনায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ, মাহমুদুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি : খুলনা অফিস জানায়, খুলনায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, আমার দেশ নাস্তিক ব্লগারদের বিরুদ্ধে এদেশের ধর্মপ্রাণ কোটি মানুষের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছিল। এ কারণে সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে বেঈমান-মুনাফেক শেখ হাসিনার সরকার গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে এবং রিমান্ডে নিয়ে হত্যার পাঁয়তারা করছে। দেশপ্রেমিক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে বানোয়াট রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা প্রত্যাহার ও অবিলম্বে তাকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে সারাদেশ অচল করে সরকারের পতন ঘটানো হবে।
বিকালে নগরীর ডাকবাংলো মোড়ে মাহমুদুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তি এবং হেফাজতের ১৩ দফা মেনে নেয়ার দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের খুলনা জেলা সভাপতি মাওলানা মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শাখাওয়াত হোসেন। বক্তব্য রাখেন মাওলানা নাসিরউদ্দিন কাশেমী, মুফতি গোলামুর রহমান, মুফতি জিহাদুল ইসলাম, মাওলানা রবিউল ইসলাম খান, মাওলানা আবদুল্লাহ জোবায়ের, হাফেজ শহিদুল ইসলাম, মো. ওয়াহিদুজ্জামান, মাওলানা আলী আহমেদ, মাওলানা রবিউল ইসলাম খান প্রমুখ।
অবরোধে প্রয়োজনে রক্ত দেবে—নারায়ণগঞ্জ হেফাজতে ইসলাম : স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে হেফাজতে ইসলামের প্রদত্ত ১৩ দফা দাবি মানা না হলে ৫ মে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী অবরোধে নারায়ণগঞ্জের পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনের স্থানীয় নেতারা। তারা বলেন, লংমার্চে যে বিপুলসংখ্যক লোকজনের সমাগম ঘটেছিল তার চেয়েও দ্বিগুণ লোকের সমাগম ঘটবে ৫ মে। সেদিন সরকারের পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হবে। হেফাজতে ইসলাম নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবদুল আউয়ালের সভাপতিত্বে ও ইসলামী ঐক্যজোট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফেরদাউসুর রহমানের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা হেফাজতের যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুল হক, সদস্য সচিব আবদুল কাদির, সদস্য আতাউল হক সরকার, ফরিদউদ্দিন, মশিউর রহমান পাভেল, আবদুর রহিম, ইয়াজউদ্দিন, মহিউদ্দিন, আবু মুসা, রহমতউল্লাহ, হারুনুর রশিদ প্রমুখ।
যশোর সমাবেশে মুফতি ওয়াক্কাস—এ সরকার ধাপ্পাবাজ : যশোর অফিস জানায়, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মুফতি ওয়াক্কাস বলেছেন, এই সরকার ধাপ্পাবাজ। সরকার নাস্তিকদের সঙ্গে গিয়ে আল্লাহ ও রাসুল (স.)-এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। পীর-আওলিয়ার এ দেশে নাস্তিকদের শেষ রক্ষা হবে না। তিনি গতকাল দুপুরে হেফাজতে ইসলামের গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। শহরের ভৈরব চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশ শেষে একটি বিশাল গণমিছিল বের হয়। এর আগে জুমার নামাজ শেষে শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিরা মিছিল সহকারে এসে সমাবেশে যোগ দেন। সমাবেশে বক্তারা আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে সময়ের সাহসী সন্তান হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, হেফাজতে ইসলাম তথা দেশের ইসলামপ্রিয় মানুষের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেন তারা। হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ছাড়াও বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। হেফাজতে ইসলাম জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল করিম যশোরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল মান্নান, হারুনর রশিদ কাসেমী, মাওলানা হামিদুল ইসলাম, মাওলানা নাসিরুল্লাহ প্রমুখ।
গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, মাহমুদুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তি, হেফাজতের হরতালে সন্ত্রাসী হামলা ও ১৩ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গাজীপুর জেলা হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে গতকাল বাদ জুমা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুফতি লেহাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় রহমান শপিংমলের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তৃতা করেন মাওলানা জাকারিয়া, মুফতি নাসির উদ্দিন খান, মাওলানা শাখাওয়াত হোসাইন প্রমুখ। এর আগে জুমার নামাজের পর চান্দনা জামে মসজিদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে ভোগড়া এলাকা হয়ে ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়কের রহমান শপিংমলের সামনে এসে শেষ হয়।
নোয়াখালীতে সমাবেশ-আমার দেশ বন্ধ ও মাহমুদুর রহমানের জেল হলে অন্য মিডিয়াকে চলতে দেয়া হবে না : নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, গতকাল জুমার নামাজের পর নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্যিক শহর চৌমুহনীতে হেফাজতের বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসলামের পক্ষে কথা বলায় আমার দেশ বন্ধ ও মাহমুদুর রহমানকে জেলে দেয়া হলে অন্য কোনো পত্রিকা-মিডিয়াকে এ দেশে চলতে দেয়া হবে না। অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি না দিলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। হেফাজতে ইসলাম নোয়াখালী শাখার সভাপতি শায়খুল হাদিস নজির আহমদের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মাওলানা নিজাম উদ্দিন, মাওলানা শিব্বির আহমদ প্রমুখ।
বগুড়া অফিস জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বগুড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। জুমার নামাজের পর শহরের কলোনি থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সাতমাথায় প্রবেশ করতে চাইলে ইয়াকুবিয়া স্কুল মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। হেফাজতে ইসলাম বগুড়া জেলা শাখার সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার শামসুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন মাওলানা ফজলুল করিম সিরাজী, মুফতি তারেক আজিজ, মুফতি আবদুল ওয়াহেদ, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস প্রমুখ। বক্তারা আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অবলিম্বে তার মুক্তির দাবি জানান।
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, হবিগঞ্জ শহরে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী সংগ্রাম পরিষদ। শহরের চৌধুরী বাজার এলাকার নুরুল হেরা জামে মসজিদের কাছ থেকে মিছিলটি বের করা হয়। মিছিল-পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য দেন- ইসলামী সংগ্রাম পরিষদ হবিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা আবু সালেহ মো. সাদী, মাওলানা আনোয়ার আলী, মহিব উদ্দিন সোহেল ও মাওলানা মাসরুরুল হক প্রমুখ। হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে তারা গতকাল বাদ জুমা এই মিছিল করেন।
পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি জানান, নওগাঁর পত্নীতলায় জুমার নামাযের পর হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় সহস্রাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। বাদ জুমা বিভিন্ন মসজিদ থেকে উপজেলা সদর নজিপুর চারমাথা বাসস্ট্যান্ডে সমবেত হন। সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
কেরানীগঞ্জে বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামের পৃথক বিক্ষোভ : ঢাকা জেলা প্রতিনিধি জানান, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ সব নেতার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন মাস্টারের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তৃতা করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপি’র যুগ্ম-আহ্বায়ক অপর্ণা রায় দাস, আহসান উল্লাহ চৌধুরীসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। সভা শেষে বিকাল সাড়ে ৫টায় বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এর আগে দুপুরে কেরানীগঞ্জে কদমতলী নূর ইসলাম কমান্ডার চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল করেছে।
দিরাইয়ে হেফাজতের বিক্ষোভ : দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, দিরাইয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। জুমার নামাজের পর দিরাই বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে থানা রোডের রেন্ট্রিতলায় এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে বক্তৃতা করেন দিরাই উপজেলা হেফাজতে ইসলামের আহ্বায়ক মাওলানা নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুরে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে মহানবী সম্পর্কে কটূক্তিকারী নাস্তিক ব্লগারদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়ন এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবি করা হয়েছে।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এবং আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে বাদ জুমা শহরের দিনাজপুর ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলাম দিনাজপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক আলহাজ মাওলানা মতিউর রহমান কাসেমী, সদস্য সচিব আলহাজ মাওলানা সোহরাব হোসাইন প্রমুখ।
লক্ষ্মীপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ : লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, দুপুরে ১৩ দফা দাবি এবং আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে লক্ষ্মীপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম। জুমার নামাজ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে উত্তর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় বক্তৃতা করেন, টুমচর মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা হারুন আল মাদানী, মাওলানা ইসমাইল হোসেন, মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা জোবায়ের প্রমুখ। বিকালে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার উদ্যোগে জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নোয়াখালীর মাইজদীতে হেফাজতের বিক্ষোভ : নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, নোয়াখালী জেলা মসজিদে কোরআন তেলাওয়াত তাজবিহ পাঠ দোয়া অনুষ্ঠানে আ.লীগ নেতার বাধা প্রদান করায় অজুখানায়, মাঠে ও আশপাশের এলাকায় বিক্ষিপ্ত অবস্থায় আমল করা হয়। পরে বিকালে জামে মসজিদ থেকে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এদিকে জেলার মসজিদে মসজিদে হেফাজতে ইসলাম, আমার দেশ ও মাহমুদুর রহমানের জন্য দোয়া করা হয়। দোয়া শেষে জেলা জামে মসজিদ থেকে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
কক্সবাজারের সর্বত্র বিক্ষোভ : কক্সবাজার জেলার সদরসহ সবগুলো উপজেলা ও কয়েকটি ইউনিয়নসহ জেলার সর্বত্রই বিক্ষোভ করেছে হেফাজতকর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিল-উত্তর সমাবেশে অবিলম্বে ১৩ দফা বাস্তবায়ন ও মাহমুদুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে বক্তারা। প্রয়োজনে তারা বৃহত্তর কর্মসূচির মাধ্যমে তাকে ছাড়িয়ে আনা হবে বলেও হুশিয়ারি দেন।
শেখ হাসিনার মসনদে আগুন জ্বলবে-রাজশাহীতে হেফাজত : অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি না দিলে শেখ হাসিনার ক্ষমতার মসনদে আগুন জ্বলে উঠবে বলে হুশিয়ারি করেছে রাজশাহীর হেফাজতকর্মীরা। মাহমুদুর রহমানের মুক্তি ও ১৩ দফা বাস্তবায়নে ইসলাম ও রাসুল (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিকারী নাস্তিক-ব্লগাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল বাদ জুমা বিশাল বিক্ষোভ মিছিল-উত্তর সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। এতে বক্তৃতা করেন, বিভাগীয় সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবদুস সামাদ, মহাসচিব হাফেজ মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাওলানা এম আবদুল্লাহ প্রমুখ।
বরিশাল : মাহমুদুর রহমানের মুক্তি ও সুস্বাস্থ্য কামনায় গতকাল বাদ জুমা হেফাজতের উদ্যোগে বরিশালের মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। সংগঠনের নেতারা জানান, জামে বাইতুল মোকাররম মসজিদ, জামে এবায়দুল্লাহ মসজিদ, জামে কসাই মসজিদ, জামে ওয়াদুদিয়া মসজিদ, বাজার রোড মাদরাসা মসজিদসহ নগরীর বিভিন্ন জেলা-উপজেলার মসজিদে দোয়া মোনাজাতের ব্যবস্থা করা হয়।
নাটোর : গতকাল নাটোর কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে মিছিল সমাবেশ করেছে হেফাজতকর্মীরা। মিছিল শেষে সমাবেশ বক্তৃতা করেন ইলিয়াস আহম্মেদ, অ্যাডভোকেট আমেল খান চৌধুরী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সিলেট : গতকাল বাদ জুমা সিলেটের হযরত শাহপরান (রহ.) মাজার গেটে বিশাল মিছিল-সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। বিভিন্ন মসজিদ থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল শাহপরাণ মাজার গেটে সমবেত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন থানা হেফাজতের সহ-সভাপতি মাওলানা আবদুস সালাম। বক্তারা অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি না দিলে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত হেফাজতের আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা দেন।
শেরপুর : বগুড়ার শেরপুরে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকালে সংগঠনের উপজেলা কমিটির উদ্যোগে শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রীয় শাহী জামে মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
চিলমারী : কুড়িগ্রামের চিলমারীতে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে গতকাল বিকাল ৩টায় থানাহাট বাজার জামে মসজিদ থেকে মুসল্লিরা বিক্ষোভ মিছিল ও মসজিদের সামনে এক সমাবেশে করেন। এতে বক্তৃতা করেন মাওলানা মতিউর রহমান, মো. মাহফুজুর রহমান, কস্ফারী গোলাম মোস্তাফা প্রমুখ।
ওসমানীনগর : সিলেটের ওসমানীনগরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। গতকাল বাদ জুমা থানার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গোয়ালাবাজারে সমাবেশে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি ও ছাপাখানা খুলে দিন। নইলে পরিণতি ভালো হবে না।
কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে হেফাযতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। গতকাল সকালে কুষ্টিয়া শহরের বড় মসজিদ থেকে মিছিলটি বের হয়ে মজমপুর গেটে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তৃতা করেন, জেলা সভাপতি মুফতি আবদুল হামিদ, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
বাবুগঞ্জ : বরিশালের বাবুগঞ্জে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা হেফাজতে ইসলাম। গতকাল জুমার পর বাবুগঞ্জ বন্দর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তৃতা করেন মাওলানা আনিছুর রহমান, নাসিরউদ্দিন হাওলাদার, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
মাহমুদুরকে গ্রেফতার সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ—হেফাজত ইউকে : লন্ডন প্রতিনিধি জানান, মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে মুক্তি দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম ইউকে। বৃহস্পতিবার পূর্ব-লন্ডনে হেফাজত ইউকের উদ্যোগে তাত্ক্ষণিক এক প্রতিবাদ সমাবেশে দাবি জানানো হয়। হেফাজতে ইসলাম যুক্তরাজ্যের আহ্বায়ক মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ’র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন হেফাজতে ইসলাম ইউরোপের আহ্বায়ক ও জমিয়তে ওলামা ইউরোপের সভাপতি আল্লামা মুফতি শাহ সদরউদ্দিন, মাওলানা শায়খ আসগর হোসেইন, মাওলানা শুয়াইব আহমদ, এম এ মালিক, মাওলানা শাহ মোহাম্মদ আনাছ, আলহাজ সদরুজ্জামান খান, মাওলানা সৈয়দ তামিম আহমদ প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন মাওলানা সৈয়দ নাঈম আহমদ।
 

BANGLADESHI UPDATE NEWS Copyright © 2011 - |- Template created by O Pregador - |- Powered by Blogger Templates