সিলেট থেকে ঢাকায় আসছিল
যাত্রীবাহী বাসটি। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ডেমরা রোডে বিবিরবাগিচা এলাকায়
আসতেই এটি খোঁড়া গর্তে পড়ে কাত হয়ে যায়
ছবি: হাসান রাজা
রাস্তা মেরামতের কাজ নিয়ে যাত্রাবাড়ী থানার বিবিরবাগিচা ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
ডেমরা রোডে বিবিরবাগিচা এবং ২, ৩ ও ৪ নম্বর রোড এলাকায় টানা বড় গর্ত খোঁড়ায় স্থানীয়দের যাতায়াতের পথ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। গর্ত খুঁড়তে গিয়ে পয়োনিষ্কাশন পাইপ ফেটে যাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে ময়লা পানি। বিচ্ছিন্ন হয়েছে টেলিফোন সংযোগও। এ ছাড়া ঠিকাদারের লোকজনের বিরুদ্ধে রাস্তা খুঁড়ে তোলা মাটির ব্যবসা চালানোর অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
ঈদের আগে রাস্তা যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার জন্য ১৫ কোটি টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিসিসি দক্ষিণ)। যাত্রাবাড়ী থানার এই সংস্কারকাজ তারই অংশ।
যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত ৩০ জুলাই গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী উড়ালসেতু এলাকা ঘুরে দ্রুত রাস্তা ঠিক করার নির্দেশ দেন। এরপর জয়কালী মন্দির থেকে যাত্রাবাড়ী এবং যাত্রাবাড়ী থেকে তিন দিকে তিন কিলোমিটার রাস্তা মেরামতের কাজে হাত দেয় ডিসিসি দক্ষিণ কর্তৃপক্ষ।
গতকাল বুধবার দুপুরে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ডেমরা সড়কে কাজলা সেতু থেকে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তার দিকে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তায় প্রায় চার ফুট গভীর ও চার ফুট প্রস্থের গর্ত খোঁড়া হয়েছে। বেশ দূরে দূরে আবাসিক এলাকামুখী রাস্তার মুখে কেবল দুটো করে পাইপ বসানো হয়েছে। এতে এলাকার বাসিন্দাদের বাড়িতে ঢুকতে অনেক পথ ঘুরতে হচ্ছে। এলাকার লোকজনকে নিজ উদ্যোগে পাইপ কিনে বসাতে বলা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে বিবিরবাগিচা এলাকায় একটি ট্রাক গর্তে পড়ে যায়। মঙ্গলবার গভীর রাতে একই এলাকায় গর্তের কারণে কাত হয়ে যায় একটি যাত্রীবাহী বাস।
গর্ত খোঁড়ার কারণে বিবিরবাগিচা ও আশপাশের এলাকার পয়োনিষ্কাশন পাইপ ফেটে ছড়িয়ে পড়ছে ময়লা পানি। ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ। এলাকার অনেক বাড়িতে টেলিফোন অচল হয়ে গেছে। স্থানীয় টেলিফোন এক্সচেঞ্জ কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, রাস্তা খোঁড়ার কারণে লাইন বিকল হয়েছে।
এদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে, গর্তের মাটি বিক্রিও করা হচ্ছে। এলাকার কয়েকজন দোকানি ও বাসিন্দা জানান, গত মঙ্গলবার রাতে গর্তগুলো থেকে বেশ কয়েকটি ট্রাক মাটি তুলে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রতি ট্রাক মাটি ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে বলে তাঁরা শ্রমিকদের কাছে শুনেছেন।
এলাকার কয়েকটি বাড়ির বাসিন্দা অভিযোগ করেন, বাড়িতে যাতায়াত করবেন কী করে—এই প্রশ্ন করলে মঙ্গলবার ঠিকাদারের লোকেরা তাঁদের নিজেদেরই গর্তের ওপর বাঁশের সাঁকো বানিয়ে নিতে বলেন। আর গতকাল সকালে তাঁদের কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে, পাইপ কেনার জন্য টাকা দিলে গর্তের ওপর তা বসিয়ে দেওয়া হবে। এলাকার বাসিন্দা মো. আসলাম জানান, তাঁর কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে। তাঁর প্রতিবেশী এক বাড়িওয়ালা আপাতত দুই হাজার টাকা দিয়েছেন।
ডিসিসি দক্ষিণের প্রধান প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, এলাকার জলাধারগুলো আগে ভরাট করে ফেলায় পানি যাওয়ার পথ নেই। তাই কাঁচা নর্দমা তৈরি করতে হচ্ছে। মাটি বিক্রির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এলাকায় গিয়ে খবর নেবেন। গর্তের ওপর পাইপ বসানোর জন্য কেউ টাকা চাইলে না দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
রাস্তা মেরামত কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আলী অ্যান্ড কোং-এর প্রধান আরশাদ আলী বলেন, রাস্তা করতে হলে পানি যাওয়ার নর্দমা করতেই হবে। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চওড়া ও গভীর গর্ত করা এবং মাটি বিক্রির বিষয়ে কিছু জানেন না বলে তিনি দাবি করেন। তবে আরশাদ আলী বলেন, রাতের বেলায় অন্য কেউ মাটি কেটে নিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘পাইপ বসানোর প্রয়োজন হলে আমরা বসাব। এলাকাবাসীকে টাকা দিতে হবে না। কারণ, এই পাইপ সাময়িকভাবে বসাতে হবে।’
এদিকে জয়কালী মন্দির থেকে রাস্তা মেরামতের কথা থাকলেও বেশির ভাগ এলাকার রাস্তা আগের মতো বেহাল অবস্থাতেই রয়েছে। জয়কালী মন্দির রোডে গতকাল বিকেলে বৃষ্টির পর গর্তে পানি জমে যান চলাচলে বড় ধরনের সমস্যা হয়। জয়কালী মন্দির রোড, স্বামীবাগ, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত বেশির ভাগ রাস্তার গর্তে দায়সারাভাবে ইটের টুকরা ফেলে রাখা হয়েছে।
প্রধান প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আপাতত ইটের সলিং দেওয়া হবে। বর্ষার পর কার্পেটিং করা হবে।
ডেমরা রোডে বিবিরবাগিচা এবং ২, ৩ ও ৪ নম্বর রোড এলাকায় টানা বড় গর্ত খোঁড়ায় স্থানীয়দের যাতায়াতের পথ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। গর্ত খুঁড়তে গিয়ে পয়োনিষ্কাশন পাইপ ফেটে যাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে ময়লা পানি। বিচ্ছিন্ন হয়েছে টেলিফোন সংযোগও। এ ছাড়া ঠিকাদারের লোকজনের বিরুদ্ধে রাস্তা খুঁড়ে তোলা মাটির ব্যবসা চালানোর অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
ঈদের আগে রাস্তা যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার জন্য ১৫ কোটি টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিসিসি দক্ষিণ)। যাত্রাবাড়ী থানার এই সংস্কারকাজ তারই অংশ।
যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত ৩০ জুলাই গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী উড়ালসেতু এলাকা ঘুরে দ্রুত রাস্তা ঠিক করার নির্দেশ দেন। এরপর জয়কালী মন্দির থেকে যাত্রাবাড়ী এবং যাত্রাবাড়ী থেকে তিন দিকে তিন কিলোমিটার রাস্তা মেরামতের কাজে হাত দেয় ডিসিসি দক্ষিণ কর্তৃপক্ষ।
গতকাল বুধবার দুপুরে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ডেমরা সড়কে কাজলা সেতু থেকে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তার দিকে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তায় প্রায় চার ফুট গভীর ও চার ফুট প্রস্থের গর্ত খোঁড়া হয়েছে। বেশ দূরে দূরে আবাসিক এলাকামুখী রাস্তার মুখে কেবল দুটো করে পাইপ বসানো হয়েছে। এতে এলাকার বাসিন্দাদের বাড়িতে ঢুকতে অনেক পথ ঘুরতে হচ্ছে। এলাকার লোকজনকে নিজ উদ্যোগে পাইপ কিনে বসাতে বলা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে বিবিরবাগিচা এলাকায় একটি ট্রাক গর্তে পড়ে যায়। মঙ্গলবার গভীর রাতে একই এলাকায় গর্তের কারণে কাত হয়ে যায় একটি যাত্রীবাহী বাস।
গর্ত খোঁড়ার কারণে বিবিরবাগিচা ও আশপাশের এলাকার পয়োনিষ্কাশন পাইপ ফেটে ছড়িয়ে পড়ছে ময়লা পানি। ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ। এলাকার অনেক বাড়িতে টেলিফোন অচল হয়ে গেছে। স্থানীয় টেলিফোন এক্সচেঞ্জ কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, রাস্তা খোঁড়ার কারণে লাইন বিকল হয়েছে।
এদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে, গর্তের মাটি বিক্রিও করা হচ্ছে। এলাকার কয়েকজন দোকানি ও বাসিন্দা জানান, গত মঙ্গলবার রাতে গর্তগুলো থেকে বেশ কয়েকটি ট্রাক মাটি তুলে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রতি ট্রাক মাটি ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে বলে তাঁরা শ্রমিকদের কাছে শুনেছেন।
এলাকার কয়েকটি বাড়ির বাসিন্দা অভিযোগ করেন, বাড়িতে যাতায়াত করবেন কী করে—এই প্রশ্ন করলে মঙ্গলবার ঠিকাদারের লোকেরা তাঁদের নিজেদেরই গর্তের ওপর বাঁশের সাঁকো বানিয়ে নিতে বলেন। আর গতকাল সকালে তাঁদের কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে, পাইপ কেনার জন্য টাকা দিলে গর্তের ওপর তা বসিয়ে দেওয়া হবে। এলাকার বাসিন্দা মো. আসলাম জানান, তাঁর কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে। তাঁর প্রতিবেশী এক বাড়িওয়ালা আপাতত দুই হাজার টাকা দিয়েছেন।
ডিসিসি দক্ষিণের প্রধান প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, এলাকার জলাধারগুলো আগে ভরাট করে ফেলায় পানি যাওয়ার পথ নেই। তাই কাঁচা নর্দমা তৈরি করতে হচ্ছে। মাটি বিক্রির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এলাকায় গিয়ে খবর নেবেন। গর্তের ওপর পাইপ বসানোর জন্য কেউ টাকা চাইলে না দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
রাস্তা মেরামত কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আলী অ্যান্ড কোং-এর প্রধান আরশাদ আলী বলেন, রাস্তা করতে হলে পানি যাওয়ার নর্দমা করতেই হবে। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চওড়া ও গভীর গর্ত করা এবং মাটি বিক্রির বিষয়ে কিছু জানেন না বলে তিনি দাবি করেন। তবে আরশাদ আলী বলেন, রাতের বেলায় অন্য কেউ মাটি কেটে নিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘পাইপ বসানোর প্রয়োজন হলে আমরা বসাব। এলাকাবাসীকে টাকা দিতে হবে না। কারণ, এই পাইপ সাময়িকভাবে বসাতে হবে।’
এদিকে জয়কালী মন্দির থেকে রাস্তা মেরামতের কথা থাকলেও বেশির ভাগ এলাকার রাস্তা আগের মতো বেহাল অবস্থাতেই রয়েছে। জয়কালী মন্দির রোডে গতকাল বিকেলে বৃষ্টির পর গর্তে পানি জমে যান চলাচলে বড় ধরনের সমস্যা হয়। জয়কালী মন্দির রোড, স্বামীবাগ, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত বেশির ভাগ রাস্তার গর্তে দায়সারাভাবে ইটের টুকরা ফেলে রাখা হয়েছে।
প্রধান প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আপাতত ইটের সলিং দেওয়া হবে। বর্ষার পর কার্পেটিং করা হবে।