স্টাফ রিপোর্টার
গতকাল পদত্যাগ করা রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ছেলে সৌমেন
সেনগুপ্তের সম্পত্তির হিসাব চেয়ে আজ নোটিশ দেবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল দুদকের অনিয়মিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠক শেষে দুদক
চেয়ারম্যান জানান, ‘বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স নেয়ার জন্য সৌমেন যে ৫ কোটি
টাকা দিয়েছেন সে উত্স জানতে তাকে নোটিশ পাঠানো হবে।’ দুদক সূত্রে জানা
গেছে, গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)
থেকে ‘আইসিএক্স’-এর (ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ) লাইসেন্স পেয়েছে সৌমেন
সেনগুপ্তের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সেনগুপ্ত টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেড। এই
লাইসেন্সের ফি বাবদ তিনি বিটিআরসিতে পরিশোধ করেছেন ৫ কোটি টাকা। এ টাকার
উত্স জানার জন্যই আজ তাকে দুদক নোটিশ পাঠাবে। সৌমেনের বিষয়ে অনুসন্ধানের
দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দুদকের উপ-পরিচালক আখতার হামিদ ভুঁইয়াকে। এতে সুরঞ্জিত
সেনগুপ্তের সম্পৃক্ততা থাকলে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
জানা যায়, সৌমেন সেন প্রায় ৬ মাস আগে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান অগ্নিসিস্টেম লিমিটেডে আইটি কর্মকর্তা ছিলেন। তার সর্বশেষ বেতন ছিল মাসিক সাকুল্যে ৫০ হাজার টাকা। গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি আইজিডব্লিউ, আইআইজি, আইসিএক্সসহ বিভিন্ন লাইসেন্সের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে। ওই সময় সৌমেন চাকরি ছেড়ে ‘সেনগুপ্ত টেলিকমিউনিকেশন’ গঠন করে বিটিআরসিতে একটি ‘আইসিএক্স’ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন। লাইসেন্সের নির্ধারিত ফি বাবদ ৫ কোটি টাকা পরিশোধের পর গত বৃহস্পতিবার বিটিআরসি তার প্রতিষ্ঠানের নামে নতুন একটি লাইসেন্স ইস্যু করে।
গতকাল দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, এরই মধ্যে পদত্যাগী রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, রেলের বরখাস্ত হওয়া পূর্বাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা, রেলমন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক তালুকদারের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে। ৭০ লাখ টাকাসহ মন্ত্রীর এপিএস বিজিবির হাতে আটক হওয়ার পর বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ সময়ে সৌমেনের ওই ৫ কোটি টাকা কোন উত্স থেকে এসেছে তা খতিয়ে দেখার জন্যই দুদক সৌমেনকে নোটিশ দেবে। গোলাম রহমান আরও জানান, মঙ্গলবার (আজ) এ নোটিশ পাঠানো হবে।
দুদক সূত্রে আরও জানা গেছে, আগামীকাল ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে ইউসুফ আলী মৃধা ও ওমর ফারুক তালুদকারকে সশরীরে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে রেলওয়ের মহাপরিচালক ও রেল মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে নোটিশের অনুলিপি দেয়া হয়েছে।
ছেলের নামে লাইসেন্স ইস্যু প্রসঙ্গে গত শুক্রবার সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আমার দেশকে বলেছিলেন, ‘আমার ছেলে একজন আইটি ইঞ্জিনিয়ার। সে লাইসেন্স নিয়েছে এটা অনরেকর্ড, এতে লুকানোর কিছু নেই। বিটিআরসি অনেককেই লাইসেন্স দিয়েছে; সঙ্গে তার ছেলেকেও দিয়েছে। এতে দোষের কি আছে। লাইসেন্সের টাকার উত্স পরিষ্কার। রাজস্ব বিভাগে আমারসহ পুরো পরিবারের আয়কর রিটার্ন রয়েছে। সেখানেই বলা আছে টাকা উত্স।’
উল্লেখ্য, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নির্বাচনী হলফনামায় তার বাত্সরিক আয় দেখানো হয়েছে মাত্র ৭ লাখ টাকা ।’
জানা যায়, সৌমেন সেন প্রায় ৬ মাস আগে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান অগ্নিসিস্টেম লিমিটেডে আইটি কর্মকর্তা ছিলেন। তার সর্বশেষ বেতন ছিল মাসিক সাকুল্যে ৫০ হাজার টাকা। গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি আইজিডব্লিউ, আইআইজি, আইসিএক্সসহ বিভিন্ন লাইসেন্সের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে। ওই সময় সৌমেন চাকরি ছেড়ে ‘সেনগুপ্ত টেলিকমিউনিকেশন’ গঠন করে বিটিআরসিতে একটি ‘আইসিএক্স’ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন। লাইসেন্সের নির্ধারিত ফি বাবদ ৫ কোটি টাকা পরিশোধের পর গত বৃহস্পতিবার বিটিআরসি তার প্রতিষ্ঠানের নামে নতুন একটি লাইসেন্স ইস্যু করে।
গতকাল দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, এরই মধ্যে পদত্যাগী রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, রেলের বরখাস্ত হওয়া পূর্বাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা, রেলমন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুক তালুকদারের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে। ৭০ লাখ টাকাসহ মন্ত্রীর এপিএস বিজিবির হাতে আটক হওয়ার পর বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ সময়ে সৌমেনের ওই ৫ কোটি টাকা কোন উত্স থেকে এসেছে তা খতিয়ে দেখার জন্যই দুদক সৌমেনকে নোটিশ দেবে। গোলাম রহমান আরও জানান, মঙ্গলবার (আজ) এ নোটিশ পাঠানো হবে।
দুদক সূত্রে আরও জানা গেছে, আগামীকাল ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে ইউসুফ আলী মৃধা ও ওমর ফারুক তালুদকারকে সশরীরে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে রেলওয়ের মহাপরিচালক ও রেল মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে নোটিশের অনুলিপি দেয়া হয়েছে।
ছেলের নামে লাইসেন্স ইস্যু প্রসঙ্গে গত শুক্রবার সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আমার দেশকে বলেছিলেন, ‘আমার ছেলে একজন আইটি ইঞ্জিনিয়ার। সে লাইসেন্স নিয়েছে এটা অনরেকর্ড, এতে লুকানোর কিছু নেই। বিটিআরসি অনেককেই লাইসেন্স দিয়েছে; সঙ্গে তার ছেলেকেও দিয়েছে। এতে দোষের কি আছে। লাইসেন্সের টাকার উত্স পরিষ্কার। রাজস্ব বিভাগে আমারসহ পুরো পরিবারের আয়কর রিটার্ন রয়েছে। সেখানেই বলা আছে টাকা উত্স।’
উল্লেখ্য, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নির্বাচনী হলফনামায় তার বাত্সরিক আয় দেখানো হয়েছে মাত্র ৭ লাখ টাকা ।’