ক্ষমা না চাইলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা : মির্জা ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার
পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র কাছ থেকে অর্থ নেয়ার ‘মিথ্যাচার
ও ভিত্তিহীন’ বক্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির কাছে ক্ষমা
না চাইলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বিএনপি। গতকাল দুপুরে এক আলোচনা সভায় দলের
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা জানান।
পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বক্তব্য তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, আইএসআই’র ফান্ড সম্পর্কে সেদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সংবাদটি কেবল ভিত্তিহীনই নয়, ষড়যন্ত্রমূলকও। তাই প্রধানমন্ত্রীকে বলব, দয়া করে এ ধরনের মিথ্যাচারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে জনগণের কাছে ক্ষমা চান, নইলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। নয়াপল্টনে ভাসানী মিলনায়তনে মহানগর
বিএনপির কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
আইএসআই’র অর্থ নেয়া সম্পর্কে আওয়ামী লীগের গত কয়েকদিনের বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতারা বার বার মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন—আইএসআই থেকে বিএনপি ১৯৯১ সালে অর্থ নিয়েছে। আমরা বার বার এ অভিযোগ খণ্ডন করলেও প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন জনসভায় ও সংসদে একই ‘কোরাস’ গেয়ে যাচ্ছেন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আইএসআই’র সাবেক প্রধান আসাদ দুররানি বাংলাদেশের একটি দৈনিক নয়া দিগন্ত ও সাপ্তাহিক হলিডে পত্রিকায় সাক্ষাত্কার দিয়ে বলেছেন, ‘পাকিস্তান সুপ্রিমকোর্টের সাক্ষ্যে তিনি কোথাও বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল বিএনপিকে অর্থ দেয়ার কথা বলেননি। গতকাল পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেশের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপিকে আইএসআইর অর্থ দেয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলেও মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওই সংবাদটিকে ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্র ও দুষ্টামিমূলক বলে অভিহিত করেছেন। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ভ্রাতৃপ্রতিম ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিনষ্ট করার জন্য এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে মুখপাত্র উল্লেখ করেন।’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জানান, এ মিথ্যা সংবাদটি বাংলাদেশে প্রথম আলো, দুবাইয়ের খালিজ টাইমস ও ভারতের ইন্ডিয়ান টুডে পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে। এ তিনটি পত্রিকায় প্রথম আলো’র নয়াদিল্লি প্রতিনিধি দীপাঞ্জন রায় চৌধুরী লিখেছেন। তিনি বলেন, আমরা এ ব্যাপারে আজই প্রথম আলো-তে প্রতিবাদ পাঠাব। প্রথম আলো কর্তৃপক্ষকে বলব, আপনারা না জেনে, যাচাই না করে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকবেন। আমাদের প্রতিবাদ ছেপে জাতিকে মিথ্যাচারের অভিশাপ থেকে রক্ষা করবেন।
স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, জিয়াই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, এটা ধ্রুবতারার মতো সত্য। আমরা কখনও শেখ মুজিবের অবদানকে খাটো করে দেখি না। আওয়ামী লীগ ৭ মার্চের ভাষণ সংবিধানে সংযোজন করেছে। তারা বলছে, এটাই স্বাধীনতার ঘোষণা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ আপসের জন্য পাকিস্তানের প্রতি আলটিমেটাম দেয়া ভাষণ। এ ভাষণে স্বাধীনতার ঘোষণার কথা ছিল না। এ ব্যাপারে ‘মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর কথোপকথন’ বইয়ে প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সচিব সাইদুর রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, তাজউদ্দীন সাহেব ২৫ মার্চ একটি টেপ রেকর্ডার নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে গিয়েছিলেন স্বাধীনতার ঘোষণা রেকর্ড করতে। কিন্তু শেখ মুজিব রাজি হননি। তিনি বলেছেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে আমি রাষ্ট্রদ্রোহী হয়ে যাব।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে মির্জা আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করে অতীতে একদলীয় শাসন এনেছিল। এবারও তা করতে যাচ্ছে ভিন্নভাবে। তারা মিথ্যাচার করে গোয়েবলসীয় কায়দায় জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়। মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে ১০ চক্রের ভগবানকে ভূত বানাচ্ছে। আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব বরকতউল্লাহ বুলু, মহানগর সদস্য-সচিব আবদুস সালাম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।
পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বক্তব্য তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, আইএসআই’র ফান্ড সম্পর্কে সেদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সংবাদটি কেবল ভিত্তিহীনই নয়, ষড়যন্ত্রমূলকও। তাই প্রধানমন্ত্রীকে বলব, দয়া করে এ ধরনের মিথ্যাচারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে জনগণের কাছে ক্ষমা চান, নইলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। নয়াপল্টনে ভাসানী মিলনায়তনে মহানগর
বিএনপির কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
আইএসআই’র অর্থ নেয়া সম্পর্কে আওয়ামী লীগের গত কয়েকদিনের বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতারা বার বার মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন—আইএসআই থেকে বিএনপি ১৯৯১ সালে অর্থ নিয়েছে। আমরা বার বার এ অভিযোগ খণ্ডন করলেও প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন জনসভায় ও সংসদে একই ‘কোরাস’ গেয়ে যাচ্ছেন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আইএসআই’র সাবেক প্রধান আসাদ দুররানি বাংলাদেশের একটি দৈনিক নয়া দিগন্ত ও সাপ্তাহিক হলিডে পত্রিকায় সাক্ষাত্কার দিয়ে বলেছেন, ‘পাকিস্তান সুপ্রিমকোর্টের সাক্ষ্যে তিনি কোথাও বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল বিএনপিকে অর্থ দেয়ার কথা বলেননি। গতকাল পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেশের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপিকে আইএসআইর অর্থ দেয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলেও মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওই সংবাদটিকে ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্র ও দুষ্টামিমূলক বলে অভিহিত করেছেন। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ভ্রাতৃপ্রতিম ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিনষ্ট করার জন্য এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে মুখপাত্র উল্লেখ করেন।’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জানান, এ মিথ্যা সংবাদটি বাংলাদেশে প্রথম আলো, দুবাইয়ের খালিজ টাইমস ও ভারতের ইন্ডিয়ান টুডে পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে। এ তিনটি পত্রিকায় প্রথম আলো’র নয়াদিল্লি প্রতিনিধি দীপাঞ্জন রায় চৌধুরী লিখেছেন। তিনি বলেন, আমরা এ ব্যাপারে আজই প্রথম আলো-তে প্রতিবাদ পাঠাব। প্রথম আলো কর্তৃপক্ষকে বলব, আপনারা না জেনে, যাচাই না করে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকবেন। আমাদের প্রতিবাদ ছেপে জাতিকে মিথ্যাচারের অভিশাপ থেকে রক্ষা করবেন।
স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, জিয়াই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, এটা ধ্রুবতারার মতো সত্য। আমরা কখনও শেখ মুজিবের অবদানকে খাটো করে দেখি না। আওয়ামী লীগ ৭ মার্চের ভাষণ সংবিধানে সংযোজন করেছে। তারা বলছে, এটাই স্বাধীনতার ঘোষণা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ আপসের জন্য পাকিস্তানের প্রতি আলটিমেটাম দেয়া ভাষণ। এ ভাষণে স্বাধীনতার ঘোষণার কথা ছিল না। এ ব্যাপারে ‘মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর কথোপকথন’ বইয়ে প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সচিব সাইদুর রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, তাজউদ্দীন সাহেব ২৫ মার্চ একটি টেপ রেকর্ডার নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে গিয়েছিলেন স্বাধীনতার ঘোষণা রেকর্ড করতে। কিন্তু শেখ মুজিব রাজি হননি। তিনি বলেছেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে আমি রাষ্ট্রদ্রোহী হয়ে যাব।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে মির্জা আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করে অতীতে একদলীয় শাসন এনেছিল। এবারও তা করতে যাচ্ছে ভিন্নভাবে। তারা মিথ্যাচার করে গোয়েবলসীয় কায়দায় জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়। মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে ১০ চক্রের ভগবানকে ভূত বানাচ্ছে। আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব বরকতউল্লাহ বুলু, মহানগর সদস্য-সচিব আবদুস সালাম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।