বাংলাদেশ-ভারত ‘মৃত্যুর সীমান্ত’

বাংলাদেশ-ভারতের
সীমান্ত বিশ্বের সবচেয়ে মরণঘাতী সীমান্তে পরিণত হয়েছে। মানবাধিকার
সংস্থা ‘অধিকার’-এর তথ্য অনুসারে গত এক দশকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর
(বিএসএফ) হাতে এক হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি নিহত হয়েছে।
বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিহত হওয়ার এ সংখ্যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে। সংস্থাটির হিসেবে, গত এক দশকে সীমান্তে বাংলাদেশের প্রায় এক হাজার মানুষ বিএসএফের হাতে নিহত হয়েছে।
অধিকারের হিসাবে, ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০০৯ সালের ১০ জুলাই পর্যন্ত মোট ৭৮৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিহত হয়েছে। এ ছাড়া এই সময়ে ৮৪৬ জন আহত ও ৮৯৫ জন অপহূত হয়েছে।
অধিকারের সাম্প্রতিক তথ্যানুসারে, সীমান্তে ২০০৯ সালে ৮৯ জন ও ২০১০ সালে ৭৪ জন বাংলাদেশি বিএসএফের হাতে নিহত হয়েছে।
সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা বন্ধে ভারতের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট করে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এ হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে। তাদের হিসাব অনুযায়ী, ২০১১ সালে বিএসএফ ৩১ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে।
অধিকার জানিয়েছে, তুলনামূলকভাবে ২০১১ সালে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার সংখ্যা হ্রাস পেলেও অপহরণ ও জোর করে আটকের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ২০১১ সালের ২৪ মার্চ জাতীয় সংসদে জানিয়েছিলেন, সরকারি হিসাব অনুসারে সীমান্তে বিএসএফের হাতে ২০০৯ সালে ৬৭ জন নিহত ও ৮০ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া ২০১০ সালে ৬০ জন নিহত ও ৮৭ জন আহত হয়েছে।
তবে ২০০৬ সাল থেকে মাত্র ৩৬৪ বাংলাদেশি ও ১৬৪ জন ভারতীয়কে হত্যার দায় স্বীকার করেছে বিএসএফ।
ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে গত ১০ বছরে প্রতিবেশী এ দুই দেশের সীমান্তে প্রায় এক হাজার বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হওয়ার তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি বলা হয়েছে, নিহতদের অধিকাংশই বাংলাদেশি। এ ধরনের ঘটনায় বাংলাদেশ-ভারতের এই সীমান্ত এলাকা দক্ষিণ এশিয়ার বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত এসব হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচার হয়নি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন সংবাদমাধ্যম গ্লোবালপোস্ট তাদের এক নিবন্ধে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তকে অভিহিত করেছে ‘মৃত্যুর প্রাচীর’ হিসেবে।
খোদ ভারতের গণমাধ্যমগুলোরও সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে খবর প্রকাশের নজির রয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য হিন্দু এ নিয়ে একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে বাংলাদেশি যুবক হাবিবুর রহমান ওরফে হবুর নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় নয়াদিল্লির নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে ‘সীমান্তে বর্বরতা’ শীর্ষক ওই সম্পাদকীয়তে মন্তব্য করা হয়।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, সীমান্তে অবৈধ কার্যকলাপ ঠেকাতে গুলি ব্যবহার না করার বিষয়ে ২০১১ সালের মার্চে দুই দেশের মধ্যে একটি ‘সমঝোতা’ হয়েছে। এ সমঝোতার পর প্রাণহানির ঘটনা কমে এসেছে। তবে সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া ভিডিও এটাই প্রমাণ করে যে বিএসএফ সদস্যরা তাদের খেয়াল-খুশি মতোই বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর বিভিন্নভাবে সহিংস আচরণ করছে।
বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিহত হওয়ার এ সংখ্যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে। সংস্থাটির হিসেবে, গত এক দশকে সীমান্তে বাংলাদেশের প্রায় এক হাজার মানুষ বিএসএফের হাতে নিহত হয়েছে।
অধিকারের হিসাবে, ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০০৯ সালের ১০ জুলাই পর্যন্ত মোট ৭৮৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিহত হয়েছে। এ ছাড়া এই সময়ে ৮৪৬ জন আহত ও ৮৯৫ জন অপহূত হয়েছে।
অধিকারের সাম্প্রতিক তথ্যানুসারে, সীমান্তে ২০০৯ সালে ৮৯ জন ও ২০১০ সালে ৭৪ জন বাংলাদেশি বিএসএফের হাতে নিহত হয়েছে।
সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা বন্ধে ভারতের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট করে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এ হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে। তাদের হিসাব অনুযায়ী, ২০১১ সালে বিএসএফ ৩১ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে।
অধিকার জানিয়েছে, তুলনামূলকভাবে ২০১১ সালে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার সংখ্যা হ্রাস পেলেও অপহরণ ও জোর করে আটকের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ২০১১ সালের ২৪ মার্চ জাতীয় সংসদে জানিয়েছিলেন, সরকারি হিসাব অনুসারে সীমান্তে বিএসএফের হাতে ২০০৯ সালে ৬৭ জন নিহত ও ৮০ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া ২০১০ সালে ৬০ জন নিহত ও ৮৭ জন আহত হয়েছে।
তবে ২০০৬ সাল থেকে মাত্র ৩৬৪ বাংলাদেশি ও ১৬৪ জন ভারতীয়কে হত্যার দায় স্বীকার করেছে বিএসএফ।
ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে গত ১০ বছরে প্রতিবেশী এ দুই দেশের সীমান্তে প্রায় এক হাজার বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হওয়ার তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি বলা হয়েছে, নিহতদের অধিকাংশই বাংলাদেশি। এ ধরনের ঘটনায় বাংলাদেশ-ভারতের এই সীমান্ত এলাকা দক্ষিণ এশিয়ার বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত এসব হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচার হয়নি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন সংবাদমাধ্যম গ্লোবালপোস্ট তাদের এক নিবন্ধে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তকে অভিহিত করেছে ‘মৃত্যুর প্রাচীর’ হিসেবে।
খোদ ভারতের গণমাধ্যমগুলোরও সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে খবর প্রকাশের নজির রয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য হিন্দু এ নিয়ে একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে বাংলাদেশি যুবক হাবিবুর রহমান ওরফে হবুর নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় নয়াদিল্লির নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে ‘সীমান্তে বর্বরতা’ শীর্ষক ওই সম্পাদকীয়তে মন্তব্য করা হয়।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, সীমান্তে অবৈধ কার্যকলাপ ঠেকাতে গুলি ব্যবহার না করার বিষয়ে ২০১১ সালের মার্চে দুই দেশের মধ্যে একটি ‘সমঝোতা’ হয়েছে। এ সমঝোতার পর প্রাণহানির ঘটনা কমে এসেছে। তবে সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া ভিডিও এটাই প্রমাণ করে যে বিএসএফ সদস্যরা তাদের খেয়াল-খুশি মতোই বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর বিভিন্নভাবে সহিংস আচরণ করছে।