পুলিশের গুলিতে নিহত ৪
চাঁদপুরের পর লক্ষ্মীপুরেও কাল হরতালের ডাক
লক্ষ্মীপুরে
পুলিশের গুলিতে আহত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম আবুল
কাশেম (৬০)। তিনি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির
সহসভাপতি। এর আগে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরে আজ রোববার
সকালে বিএনপির নেতা-কর্মীরা গণমিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের ওপর
গুলি চালায়। এতে চাঁদপুরে লিমন ছৈয়াল (২৫) ও আবুল মৃধা (৫৫) এবং
লক্ষ্মীপুরে রুবেল হোসেন (২২) নিহত হন। এ ছাড়া চাঁদপুরে পুলিশ-বিএনপির
পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। পুলিশ এসব
ঘটনায় ১০ জনকে আটক করেছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরে কাল সোমবার আধা বেলা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ জানান, পুলিশের গুলিতে আজ বিএনপির তিনজন কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এই হরতাল ডাকা হয়েছে। কাল সকাল ছয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুরে হরতাল হবে। আজ রোববার চাঁদপুরে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে শেখ ফরিদ আহমেদ এসব কথা বলেন। বিএনপির পক্ষ থেকে ওই সংবাদ ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, বিএনপি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুলিশ বিএনপির ১২ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। হাসপাতালে ৩০ জন আহত নেতা-কর্মী ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ তিনজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন জানান, কাল সকাল ছয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সেখানে আধা বেলা হরতাল হবে। তিনি আরও জানান, পুলিশের গুলিতে লক্ষ্মীপুরে বিএনপির দুই নেতা নিহত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে কাল হরতাল ডাকা হয়েছে। তিনি আরও জানান, পুলিশি তাণ্ডব থেকে স্থানীয় সাংবাদিকেরাও রেহাই পাননি। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশি হামলায় দিগন্ত টিভি ও দৈনিক সংবাদের লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি মাসুদুর রহমান খান, মাছরাঙা টিভি ও যায়যায় দিন পত্রিকার সাংবাদিক, দৈনিক আজকালের খবর ও বার্তা সংস্থা এফএনএসের রবিউল ইসলাম খান, দৈনিক উপকূল প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক বেলাল হোসেন, প্রথম আলোর এম জে আলম, দৈনিক মেঘনার পাড় প্রতিনিধি শাকের মো. রাসেল আহত হন।
পুলিশ সুপার জমসের আলী বলেন, চারদলীয় জোটের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে। নিহত ব্যক্তিরা কার গুলিতে মারা গেছেন, তদন্তের পর তা বলা যাবে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বেলা ১১টার দিকে গণমিছিলের উদ্দেশে চাঁদপুর শহরের হাসানআলী সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। পুলিশ তাঁদের বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশ উপস্থিত ম্যাজিস্ট্রেট শামীম উল হকের নির্দেশে এলোপাতাড়ি গুলি ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় বিএনপির চার কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। কিন্তু দুজন নিহত হওয়ার খবর শুনে নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশকে ঘেরাও করেন। এই সময় ওই স্কুলসহ আশপাশের তিনটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পুলিশ অবরুদ্ধ হয়ে আছে এমন খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের একটি দল সোয়া একটার দিকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয়। পরে বিকেল তিনটার দিকে আস্তে আস্তে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে। বর্তমানে শহরের বিভিন্ন স্থানে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরাও অবস্থান নিয়েছেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ জানিয়েছেন, পুলিশের উপস্থিতিতেই জেলা বিএনপির কার্যালয় এবং তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করেছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া শহরের চিত্রলেখা মোড়, ছায়াবাণী মোড়, শাপলা চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের সহায়তায় ছাত্রদলের ওপর হামলা চালায়। পুলিশের সহায়তায় এটি আওয়ামী সন্ত্রাসী হামলা এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাঁদের দুই কর্মী নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। মাহফুজুর রহমান নামের এক কর্মীর পায়ে গুলি লেগেছে। তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বিএনপির কর্মীদের সঙ্গে শিবিরের কর্মীরা জড়ো হলে এই উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। শহরে শতাধিক গাড়ি ও প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে উত্তেজিত কর্মীরা। ভয়ে শহরে দোকানপাট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ।
চাঁদপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আলমগীর হোসেন জানান, গুলিবিদ্ধ লিমনকে পুলিশের কাভার্ড ভ্যানে রাখা হয়। তবে অবরুদ্ধ থাকায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি হয়।
চাঁদপুর সদর হাসপাতালের চিকিত্সক মাহমুদুন্নবী মাসুম দুজনের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আবুলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে লিমনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়। তাঁর মাথায় গুলি লাগে। ওই গুলি বের করতে গিয়ে দেখা যায় তিনি মারা গেছেন। তাঁর বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। লিমনের বাড়ি শহরের গুয়াখোলায় এবং আবুলের বাড়ি বাবুরহাট এলাকায়। তাঁরা দুজনই রিকশাচালক ছিলেন।
লিমনের ভাই সুজন দাবি করেছেন, বিএনপির মিছিলে যোগ দিতে এসেই মারা গেছেন তাঁর ভাই।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমির জাফর জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি। এর মধ্যে সদর থানার ওসিসহ পুলিশের ২৫-৩০ জন সদস্য আছেন।
লক্ষ্মীপুর: আজ সকাল ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর শহরের দক্ষিণ ত্রিমোহনী থেকে বিএনপি গণমিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা চলে আধা ঘণ্টা ধরে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একপর্যায়ে পুলিশ ৫০টির মতো রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে রুবেল হোসেন (২২) নামে একজনের মৃত্যু হয়। তবে তাঁর বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। বিকেলে ঢাকা নেওয়ার পথে পাঁজরে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত আবুল কাশেম মারা যান। লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন সাবু তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনিসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরে কাল সোমবার আধা বেলা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ জানান, পুলিশের গুলিতে আজ বিএনপির তিনজন কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এই হরতাল ডাকা হয়েছে। কাল সকাল ছয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুরে হরতাল হবে। আজ রোববার চাঁদপুরে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে শেখ ফরিদ আহমেদ এসব কথা বলেন। বিএনপির পক্ষ থেকে ওই সংবাদ ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, বিএনপি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুলিশ বিএনপির ১২ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। হাসপাতালে ৩০ জন আহত নেতা-কর্মী ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ তিনজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন জানান, কাল সকাল ছয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সেখানে আধা বেলা হরতাল হবে। তিনি আরও জানান, পুলিশের গুলিতে লক্ষ্মীপুরে বিএনপির দুই নেতা নিহত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে কাল হরতাল ডাকা হয়েছে। তিনি আরও জানান, পুলিশি তাণ্ডব থেকে স্থানীয় সাংবাদিকেরাও রেহাই পাননি। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশি হামলায় দিগন্ত টিভি ও দৈনিক সংবাদের লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি মাসুদুর রহমান খান, মাছরাঙা টিভি ও যায়যায় দিন পত্রিকার সাংবাদিক, দৈনিক আজকালের খবর ও বার্তা সংস্থা এফএনএসের রবিউল ইসলাম খান, দৈনিক উপকূল প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক বেলাল হোসেন, প্রথম আলোর এম জে আলম, দৈনিক মেঘনার পাড় প্রতিনিধি শাকের মো. রাসেল আহত হন।
পুলিশ সুপার জমসের আলী বলেন, চারদলীয় জোটের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে। নিহত ব্যক্তিরা কার গুলিতে মারা গেছেন, তদন্তের পর তা বলা যাবে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বেলা ১১টার দিকে গণমিছিলের উদ্দেশে চাঁদপুর শহরের হাসানআলী সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। পুলিশ তাঁদের বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশ উপস্থিত ম্যাজিস্ট্রেট শামীম উল হকের নির্দেশে এলোপাতাড়ি গুলি ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় বিএনপির চার কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। কিন্তু দুজন নিহত হওয়ার খবর শুনে নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশকে ঘেরাও করেন। এই সময় ওই স্কুলসহ আশপাশের তিনটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পুলিশ অবরুদ্ধ হয়ে আছে এমন খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের একটি দল সোয়া একটার দিকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয়। পরে বিকেল তিনটার দিকে আস্তে আস্তে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে। বর্তমানে শহরের বিভিন্ন স্থানে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরাও অবস্থান নিয়েছেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ জানিয়েছেন, পুলিশের উপস্থিতিতেই জেলা বিএনপির কার্যালয় এবং তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করেছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া শহরের চিত্রলেখা মোড়, ছায়াবাণী মোড়, শাপলা চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের সহায়তায় ছাত্রদলের ওপর হামলা চালায়। পুলিশের সহায়তায় এটি আওয়ামী সন্ত্রাসী হামলা এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাঁদের দুই কর্মী নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। মাহফুজুর রহমান নামের এক কর্মীর পায়ে গুলি লেগেছে। তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বিএনপির কর্মীদের সঙ্গে শিবিরের কর্মীরা জড়ো হলে এই উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। শহরে শতাধিক গাড়ি ও প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে উত্তেজিত কর্মীরা। ভয়ে শহরে দোকানপাট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় মালিকপক্ষ।
চাঁদপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আলমগীর হোসেন জানান, গুলিবিদ্ধ লিমনকে পুলিশের কাভার্ড ভ্যানে রাখা হয়। তবে অবরুদ্ধ থাকায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি হয়।
চাঁদপুর সদর হাসপাতালের চিকিত্সক মাহমুদুন্নবী মাসুম দুজনের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আবুলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে লিমনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়। তাঁর মাথায় গুলি লাগে। ওই গুলি বের করতে গিয়ে দেখা যায় তিনি মারা গেছেন। তাঁর বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। লিমনের বাড়ি শহরের গুয়াখোলায় এবং আবুলের বাড়ি বাবুরহাট এলাকায়। তাঁরা দুজনই রিকশাচালক ছিলেন।
লিমনের ভাই সুজন দাবি করেছেন, বিএনপির মিছিলে যোগ দিতে এসেই মারা গেছেন তাঁর ভাই।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমির জাফর জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি। এর মধ্যে সদর থানার ওসিসহ পুলিশের ২৫-৩০ জন সদস্য আছেন।
লক্ষ্মীপুর: আজ সকাল ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর শহরের দক্ষিণ ত্রিমোহনী থেকে বিএনপি গণমিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা চলে আধা ঘণ্টা ধরে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একপর্যায়ে পুলিশ ৫০টির মতো রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে রুবেল হোসেন (২২) নামে একজনের মৃত্যু হয়। তবে তাঁর বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। বিকেলে ঢাকা নেওয়ার পথে পাঁজরে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত আবুল কাশেম মারা যান। লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন সাবু তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনিসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।