0 পুলিশের গুলিতে নিহত ৪ : চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরে আজ হরতাল জেলায় জেলায় গণমিছিলে পুলিশ ও আ.লীগের হামলা, ১০ জেলা রণক্ষেত্র





পুলিশের গুলিতে নিহত ৪ : চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরে আজ হরতাল জেলায় জেলায় গণমিছিলে পুলিশ ও আ.লীগের হামলা, ১০ জেলা রণক্ষেত্র

স্টাফ রিপোর্টার
বিএনপিসহ চারদলীয় জোটের গণমিছিল কর্মসূচি চলাকালে গতকাল সারাদেশে তাণ্ডব চালিয়েছে সরকার। লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে ৪ বিএনপি কর্মী। তারা হলেন—চাঁদপুরের স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী লিমন, বিএনপি কর্মী আবুল হোসেন গাজী, লক্ষ্মীপুরে বিএনপি কর্মী আবুল কাশেম ও যুবদল কর্মী রুবেল। পুলিশ ও সরকারদলীয় সশস্ত্র হামলায় জেলায় জেলায় গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন হাজারের বেশি নেতাকর্মী। গ্রেফতার ও আটক করা হয়েছে দেড় হাজার নেতাকর্মীকে। নির্বিচারে গুলি, রাবার বুলেট, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে প্রচণ্ড বাড়াবাড়ি করেছে পুলিশ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকার দলীয় ক্যাডারদের তাণ্ডবে রণক্ষেত্র হয়েছিল চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ময়মনসিংহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নাটোর, নীলফামারী, কিশোরগঞ্জ, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, দিনাজপুরসহ ১০টি জেলা। খুলনা, পাবনা, জয়পুরহাট, হবিগঞ্জ ও পাথরঘাটাসহ বিভিন্ন স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করে গণমিছিল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। দলীয় কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে আজ চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলায় আধাবেলা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। ক’দিন আগে বিএসএফ কর্তৃক চাঁপাইনবাবগঞ্জে হাবীবুর রহমানকে উলঙ্গ করে নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশের রেশ না কাটতেই সেই রকম বীভত্স আচরণ গতকাল দেখা গেছে চাঁদপুরে। জেলা প্রশাসকের রাজস্ব শাখার সহকারী কমিশনার শামিমুল হক পাভেলের নির্দেশে যুবদল কর্মী লিমনকে গুলি করে আহত করার পর তাকে আছাড় মেরেছে পুলিশ। মুমূর্ষু লিমনকে মৃত্যুর আগে উলঙ্গ করেও নির্যাতন চালানো হয়। নগ্ন অবস্থায় তার হাত ও পা ধরে পিকআপ ভ্যানে তোলে পুলিশ। তখন তার গুলিবিদ্ধ মাথা দিয়ে অঝোরে রক্ত ঝরছিল। লিমনকে যারা গাড়িতে তোলে সেই তিন পুলিশের ভাবভঙ্গি ছিল—যেন মৃত একটি সাপকে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে ফেলে দেয়ার জন্য গাড়িতে তুলছে। তাদের প্রত্যেকের হাতে তখনও ছিল লাঠি ও বেয়নেট। লিমনের প্রতি পুলিশের নির্মম আচরণ কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা করা কাঁটাতারে ঝুলে থাকা ফেলানীর কথাই মনে করিয়ে দেয়। মুমূর্ষু লিমনকে গাড়িতে তুলে দেড়ঘণ্টা রেখে দেয়া হয়। এরপর নেয়া হয় হাসপাতালে। ততক্ষণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া লক্ষ্মীপুরে কার নির্দেশে পুলিশ মিছিলে গুলি চালিয়ে দু’জনকে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে পরিষ্কার করে জানাতে পারেনি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ।
শুধু চাঁদপুর বা লক্ষ্মীপুরেই নয়, গণমিছিল ঠেকাতে গতকাল সারাদেশেই প্রচণ্ড বাড়াবাড়ি করেছে পুলিশ। কঠোর মারমুখী অবস্থানের পাশাপাশি বিনা উস্কানিতে লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা। তারা বহু এলাকায় মিছিলের মাইকিং পর্যন্ত করতে দেয়নি। মিছিলে নামার পর কেড়ে নিয়েছে ব্যানার-ফেস্টুন। পুলিশের বাড়াবাড়ি ও একশ্রেণীর অতিউত্সাহী কর্মকর্তার কারণে সহিংসতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
চাঁদপুর রণক্ষেত্র নিহত ২ : চাঁদপুরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে রাজস্ব শাখার সহকারী কমিশনার শামিমুল হক পাভেলের নির্দেশে পুলিশ গুলি চালালে ২ জন নিহত ও ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়। পুলিশ ও সরকার দলীয় ক্যাডাদের সশস্ত্র হামলায় রণক্ষেত্র ছিল গোটা শহর। দফায় দফায় সংষর্ষে আহত হয়েছে চারদলীয় জোটের শতাধিক নেতাকর্মী। গুলিবিদ্ধ ৬ জনসহ ২৩ নেতাকর্মীকে চাঁদপুর সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপি চাঁদপুরে আজ সোমবার অর্ধদিবস হরতাল ও বিকালে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে। পুলিশের শতাধিক রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনায় শহরজুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সশস্ত্র নেতাকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে এবং বিএনপি কার্যালয় ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের বাসভবন ভাংচুর করেছে।
পুলিশের গুলিতে নিহতরা হলো স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী শহরের গুয়াখোলা এলাকার বাসিন্দা লিমন ছৈয়াল (২৫) ও বাবুরহাটের রিকশাচালক আবুল হোসেন গাজী (৫৫)। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর এক পুলিশ লিমন ছৈয়ালকে ধরে আছাড় দেয়। এ সময় ওই পুলিশ সদস্য বলেন, ‘আরে শালা মরে গেছে।’ এরপর লিমনকে মুমূর্ষু অবস্থায় পুলিশের পিকআপ ভ্যানের ওপর ফেলা রাখা হয়। উলঙ্গ অবস্থায় প্রায় দেড় ঘণ্টা ফেলে রাখায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে লিমনের মৃত্যু হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় লিমনের ওপর পুলিশের অমানবিক আচরণ দেখে আঁেক ওঠে চাঁদপুরের মানুষ। তারা পুলিশ ও সরকারকে ধিক্কার জানায়।
বিএনপি নেতারা জানান, কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি নেতাকর্মীরা গতকাল সকাল ১১টায় খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শহরের হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশ হঠাত্ করে লাঠিচার্জ শুরু করলে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। প্রথমে পুলিশ টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ইটপাটকেল ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে পড়ে। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ম্যাজিস্ট্রেট শামিমুল হক পাভেল পুলিশকে মিছিল লক্ষ্য করে গুলি করার নির্দেশ দেয়। আধঘণ্টার বেশি সময় ধরে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে পুলিশ। নিহত দু’জন ছাড়াও গুলিবিদ্ধরা হলেন, বিএনপি কর্মী জুয়েল, ইব্রাহীম, আবুল বাশার, মাহবুব, মানিক এলাহী ও আবদুর রহমান মিঝি।
পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ১৬ জনকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন অমূল্য সাহা, দুদুমিয়া, হান্নান বেপারি, ইব্রাহীম, মমিন, ইব্রাহীম খলিল, শিপন গাজী, আবদুর রহমান, জাকির হোসেন, জাহিদ, মাহফুজ, আলমগীর, সুমন, আলমগীর হোসেন ও সাদ্দাম।
চাঁদপুর সদর হাসপাতালের চিকিত্সক মাহমুদুন্নবী মাসুম জানান, দুপুর ১২টায় ৩ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দু’জন মারা যান।
হাসান আলী মাঠের সামনে থেকে বিক্ষোভ ক্রমেই সারা শহরে ছড়িয়ে পড়ে। শহরের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। শহরের কালীবাড়ি, লেকেরপাড়, নতুনবাজার, চিত্রলেখা মোড়সহ শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের খণ্ড খণ্ড সংঘর্ষ হতে থাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
বেলা সোয়া একটার দিকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সশস্ত্র নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে মিলে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর করে। এ সময় কার্যালয়ে অবস্থান নেয়া নেতাকর্মীদের বেধড়ক মারধর করে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা। আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা বিএনপি কার্যালয়ের আসবাবপত্র, বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ভাংচুর করে। পরে আ.লীগ নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির সেক্রেটারি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা ওই বাড়ির গেটের ব্যাপক ক্ষতি করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমির জাফর জানান, পুলিশ কমপক্ষে ২০ রাউন্ড টিয়ারশেল, ৪ রাউন্ড চাইনিজ রাইফেলের গুলি এবং শতাধিক রাউন্ড শটগাটের গুলি ছোড়ে। তিনি জানান, এ ঘটনার জন্যে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাকে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সুপার শহীদুল্যাহ চৌধুরী। এছাড়া চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজিকে প্রধান করে অন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়।
দফায় দফায় সংঘর্ষ চলাকালে শহরে পুলিশ ভ্যান, পিকআপ ভ্যান, সিএনজি, অটোরিকশা ও রিকশাসহ কমপক্ষে ৩০টি যানবাহন ভাংচুর করা হয়েছে। বেবিস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি ব্যাংকের সাইনবোর্ড এবং গ্লাস ভাংচুর করা হয়। সংঘর্ষের কারণে বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত শহরের সব দোকানপাট ও যান চলাচল বন্ধ থাকে। স্কুল-কলেজে আসা ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা মারাত্মক বিপাকে পড়েন। স্কুলে আসা শিশু শিক্ষার্থীদের বাবা-মা রাস্তাঘাটে নেমে এলেও সংঘর্ষের কারণে বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়ে। হাসান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্র গুলিতে নিহত হওয়ার গুজবে শহরজুড়ে অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এবং তারা হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন।
এদিকে দুপুর সোয়া ১টায় যখন পরিস্থিতি অনেকটা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে ঠিক তখন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডাররা পুলিশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিএনপি-জামায়াতের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে বিকাল ৩টা থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় বিএনপির ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন—শরীফ বকাউল, রুবেল ঢালী, ফাহিম খান, আবদুল আউয়াল বেপারি, আল-আমিন শেখ, কুদ্দুস বেপারি, সুমন চন্দ্র সূত্রধর ও মো. বিল্লাল।
পুলিশ সুপার শহীদুল্যাহ চৌধুরী পিপিএম জানান, সংঘর্ষের সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমির জাফর, মডেল থানার ওসি জাকের হোসাইন, সেকেন্ড অফিসার মনির হোসেনসহ তাদের প্রায় ৩০ জন পুলিশ আহত হয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক বলেন, সম্পূূর্ণ পূর্বপরিকল্পিতভাবে পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীর ওপর ভয়ঙ্কর হামলা চালায়। তিনি দাবি করেন, নেতাকর্মীরা যখন অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে হাসান আলী হাইস্কুল মাঠে জড়ো হচ্ছিল, ঠিক তখনই অন্যায়ভাবে পুলিশ তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক পুলিশের এ ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
লক্ষ্মীপুরে ১০ জন গুলিবিদ্ধ ও নিহত ২ আহত অর্ধশত : কেন্দ্র ঘোষিত চারদলীয় জোটের গণমিছিলকালে লক্ষ্মীপুরে পুলিশ ও সরকারি দলের ক্যাডারদের সশস্ত্র হামলায় ২ জন নিহত হয়েছেন। তাদের একজন যুবদল কর্মী ও একজন বিএনপি কর্মী। যুবদল কর্মীর নাম রুবেল ও বিএনপি কর্মীর নাম আবুল কাশেম। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও ১০ জন। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ও সাংবাদিক, পথচারী এবং শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গতকাল সকাল ১১টায় শহরের দক্ষিণ তেমুহনীতে চারদলীয় জোটের গণমিছিলে পুলিশ বাধা দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ অবস্থায় হঠাত্ করেই পুলিশ মিছিলটি লক্ষ্য করে ৬৮ রাউন্ড গুলি ও ২০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং বেধড়ক লাঠিচার্জ শুরু করে। গুলিতে চারদলীয় জোটের ১০ জন গুলিবিদ্ধ এবং তিন সাংবাদিক, কয়েকজন পথচারী ও ১৫ পুলিশ আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। গুলিবিদ্ধদের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার পর যুবদল কর্মী মো. রুবেল মারা গেছেন। বিএনপি কর্মী আবুল কাশেম মারা যান উন্নত চিকিত্সার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে। গুরুতর আহত রকিসহ ৩ জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কার নির্দেশে লক্ষ্মীপুরের গণমিছিলে গুলি চালানো হয়েছে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি সাংবাদিকরা। ওই সময় ঘটনাস্থলে নির্দেশদাতার মতো কোনো কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না। লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক একেএম মিজানুর রহমানের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, সদর থানার ওসি গোলাম সারওয়ার সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি কার নির্দেশে গুলি চালিয়েছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক বলেন, আপনারা এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে দেখুন। লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার জমসের আলীর মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি, ঢাকার বা লক্ষ্মীপুরের কোনো সাংবাদিকের ফোনই তিনি রিসিভ করেননি। সদর থানার ওসি বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না, পরে গেছেন।
এদিকে সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে রবিউল ইসলাম রকি, জাবেদ ও নাহিদের অবস্থা গুরুতর। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আহত হলেন সদর থানার ওসি গোলাম সরোয়ার, এসআই বাশার, এনাম, কনস্টেবল মমিনুল্লাহ, শহিদুল ইসলাম, মো. অলি, আহসান, টগর। দলীয় আহত নেতাকর্মীদের শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জেলা বিএনপি এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ জেলা শহরে অর্ধদিবস হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল খায়ের ভূঁইয়া এমপি, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এমপি পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবু জানান, বিনা উস্কানিতে পুলিশ তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি চালায়। জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তিনি এর তীব্র নিন্দা জানান। এবং দলীয় কর্মী নিহতের ঘটনায় তিনদিনের শোক কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন। ঘটনা তদন্তের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরো জেলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
দিনাজপুর রণক্ষেত্র আহত অর্ধশত : চারদলীয় ঐক্যজোট ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর গণমিছিলে পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপে দিনাজপুর শহর ছিল রণক্ষেত্র। পুলিশ ও র্যাবের লাঠিচার্জে জেলা বিএনপি সভাপতি ও পৌর মেয়রসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত ও ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহতদের দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় জেলা বিএনপি সভাপতির বাড়ির গেটেও পুলিশ ও র্যাব হামলা চালিয়েছে।
চারদলীয় জোটের মিছিল দিনাজপুর ইনস্টিটিউট মাঠ থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা অতর্কিতভাবে ব্যানার ছিনিয়ে নেয় ও বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। পুলিশের লাঠিচার্জে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ায় নেতাকর্মীরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে। নেতাকর্মীরা বিক্ষিপ্তভাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ পাল্টা টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে শহরের জেল রোড ও আশপাশ এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দীর্ঘ প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে পুলিশ ও বিএনপি, জামায়াত, জাগপাসহ সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এ সময় পুলিশ ও র্যাব নিরীহ পথচারীসহ সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ ও র্যাবের হামলায় জেলা বিএনপি সভাপতি আলহাজ লুত্ফর রহমান মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক মুকুর চৌধুরী, সহ-সভাপতি মাহবুব আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক ও পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, আখতারুজ্জামান জুয়েল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক হেলালসহ ২৫ জন ছাড়াও জেলা জামায়াতের আমির আনোয়ারুল ইসলাম, জামায়াত নেতা মাসুদ রানা, আনোয়ার হোসেন ও জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক হৃদয় বাকী, ফরিদ, রাজিব, সোহেল রানাসহ অর্ধশত সাধারণ মানুষ আহত হয়েছে। আহতদের দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, দিনাজপুর সদর হাসপাতালসহ স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ রণক্ষেত্র শতাধিক রাউন্ড টিয়ারশেল : ময়মনসিংহে চারদলীয় জোট ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নতুন বাজারের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের করলে ট্রাফিক মোড়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, লাঠিচার্জ ও সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ শতাধিক রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে সাবেক এমপি শাহ নুরুল কবির শাহিন, জেলা ছাত্রদল সভাপতি রুকনোজ্জামান রুকনসহ কমপক্ষে অর্ধশত আহত হন। কয়েকজন পুলিশও আহত হয়। গুরুতর আহত ৬ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা নতুনবাজার মোড়ে কয়েকটি দোকানপাট ও টেম্পো ভাংচুর করে এবং রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে দেয়। পুলিশ বিএনপি অফিসে ঢুকে নেতাকর্মীদের মারধর ও ভাংচুর করে। এদিকে পুলিশ ৬ বিএনপি কর্মীকে আটক করেছে।
গতকাল রোববার বিকালে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নতুনবাজারের দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে জেলা দক্ষিণ বিএনপি সভাপতি সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ও কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাবেক এমপি শাহ নুরুল কবীর শাহিন, কোতোয়ালি বিএনপি সভাপতি কামরুল ইসলাম মো. ওয়ালিদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে ট্রাফিক মোড়ে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় বিএনপি কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ ধাওয়া করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, লাঠিচার্জ ও সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিক্ষোভকারীরা অলিগলি থেকে পুলিশকে ধাওয়া করলে পুলিশ পিছু হটে। এ সময় পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন। পরে বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকে কর্মীদের বেধড়ক লাঠিচার্জ করে এবং ভাংচুর করে।
কিশোরগঞ্জ রণক্ষেত্র : গণমিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষে সাংবাদিক, পুলিশসহ আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপসহ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। এ সময় পুলিশ বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। জেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। হারুয়া এলাকায় দুপুর সাড়ে ১২টায় বের হয়ে একটি মিছিল রথখোলা এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ বাধা দেয় ও একপর্যায়ে লাঠিচার্জ করে। এ ঘটনায় বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় প্রথমে পুলিশ পিছু হটলেও পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে। এতে করে রথখোলা থেকে শহরের পৌর মার্কেট, বড় বাজার ও তেরীপট্টি এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এ সময় ৩০ রাউন্ড রাবার বুলেট, ৯ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপসহ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। সংঘর্ষে ২২ জন পুলিশ ছাড়াও অর্ধশতাধিক বিএনপির নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় দায়িত্ব পালনকালে বৈশাখী টিভি ও সকালের খবর পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি নূর মোহাম্মদ, যায়যায়দিনের জেলা প্রতিনিধি সাইফুল মালেক চৌধুরী, স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার কামরুজ্জামান উজ্জ্বল ও এএসএম আকাশ এ ৪ সাংবাদিক আহত হন।
পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আমীরুজ্জামান ও হোসেনপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম মবিনসহ ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে আমীরুজ্জামান, জহিরুল ইসলাম মবিন, ইব্রাহিম মোল্লা, জামান, সাদ্দাম, মঞ্জুর, নয়ন, মেরাজ, হাবিবুর, তানভীর, নাফিজ, শরীফ ও সোহেল।
এর কিছুক্ষণ পর গাইটাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অপর একটি মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় উত্তেজিত নেতাকর্মীরা পুলিশের একটি গাড়ি ভাংচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের গুলিতে আবদুস শহিদ, রাসেল ও আসাদসহ বিএনপির ৩ কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। তাদের কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নীলফামারী রণক্ষেত্র : চারদলীয় জোটের গণমিছিলে ছাত্রলীগ, পুলিশের যৌথ হামলায় রণক্ষেত্র ছিল নীলফামারী। সংঘর্ষ চলাকালে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। সরকারি দলের ক্যাডাররা পুলিশের পাহারায় খালেদা জিয়া ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবিতে অগ্নিসংযোগ করেছে। সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপি অফিসে ব্যাপক ভাংচুর চালায় সরকারদলীয় লোকজন। এ সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর সরকার, রাজু, আবদুর রশীদ, আতাউর রহমান, শহীদুল ইসলাম, মেহেবুল, পুলিশ সদস্য শাহ আলম, শফিকুল ইসলাম, জুলফিকার আলী, মোখলেছুর রহমান, মোশাররফ হোসেন ও নাজমা বেগমকে নীলফামারী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও অনেকেই পুলিশি হয়রানির ভয়ে হাসপাতালে যায়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের চারজনকে আটক করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১২ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৫টি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। শহরে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। শহরের সব পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় টিভির নীলফামারী প্রতিনিধি কনক সারোয়ার, এএসআই হানিফ, শাহ আলম, জাহিদুল শফিউল ইসলাম, ১০ পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদিকে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল থেকে আওয়ামী লীগ অফিসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করার অভিযোগে আওয়ামী সমর্থিত কর্মীরা বিএনপি অফিসে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। চরম উত্তেজনার মধ্যে শহরের সব দোকানপাট ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়।
বাগেরহাটে বাধা : বিএনপির দু’গ্রুপের গণমিছিল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। গতকাল সকাল ১১টায় শহরের মুনিগঞ্জের জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে গণমিছিল বের করার চেষ্টা করলে বিপুলসংখ্যক পুলিশ এতে বাধা দেয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে বিএনপির অপর গ্রুপ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপের নেতৃত্বে হাসপাতাল মোড় এলাকা থেকে গণমিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশের বাধায় সেটি পণ্ড হয়ে যায়।
এ সময় পুলিশ বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন ডালিম, শাহিনুর, তরিকুল, ময়না, স্বপন, মনি ডাকুয়া, শিপার, ফরিদ, আশরাফুল ও জাহিদুল ।
পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তার ওপর বসে পড়ে সমাবেশ করেন। জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ সালামের সভাপতিত্বে পথসভায় বক্তৃতা করেন সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মুজিবর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা বাবু, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা রেজাউল করিম, সেক্রেটারি শেখ আবদুল ওয়াদুদ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাফফর রহমান আলম, জেলা কৃষক দলের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শমশের আলী মোহন, পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ শাহেদ আলী রবি, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মেহেবুবুল হক কিশোর, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সরদার লিয়াকত আলী, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বুলু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোল্লা সুজাউদ্দিন সুজন প্রমুখ।
এদিকে বিএনপির অপর গ্রুপ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক নিল্লুর রহমান নিলুর নেতৃত্বে হাসপাতাল মোড় এলাকা থেকে গণমিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশের বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়। এ সময় পুলিশ বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে।
টাঙ্গাইলে আহত ২০ : টাঙ্গাইলে বিএনপির গণমিছিলে ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগ হামলা করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় মহিলা দলের কর্মীসহ বিএনপির অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসব ঘটনার ছবি তুলতে গেলে এনটিভির টাঙ্গাইল প্রতিনিধির ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিভিন্ন টেলিভিশনে কর্মরত সাংবাদিকদের ছবি তুলতে নিষেধ করেন শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত নেতাকর্মী গণমিছিলে যোগ দিতে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জড়ো হতে থাকে। দুপুর ১২টার মধ্যে পৌর উদ্যানে হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হয়। দেলদুয়ার থেকে বিএনপির একটি মিছিল শহরের প্রাণকেন্দ্র নিরালা মোড়ে এলে শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হন। শহীদ মিনারের সামনে বিকট শব্দে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। পুলিশের সামনেই সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে নিরালা মোড়ে অবস্থান নেন। গণমিছিলে যোগ দিতে আসা খণ্ড খণ্ড মিছিলের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের কয়েকদফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দুপুর ১টার দিকে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান ও সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ শামছুল আলম তোফার নেতৃত্বে পৌর উদ্যান থেকে গণমিছিল বের করা হয়।
নাটোরে দফায় দফায় হামলা : নাটোরে বিএনপি ও জামায়াতের পৃথক গণমিছিলে দফায় দফায় যুবলীগ ও পুলিশের বাধা-হামলায় কমপক্ষে শতাধিক আহত এবং চার জামায়াতের কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে জামায়াতের ৪জন, বাকিরা বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী। নাটোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক দাবি করেছেন, তাদের দুই শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সরকারি দল ও পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে কয়েক হাজার লোক নিয়ে বিএনপি মিছিল-সমাবেশ করলেও জামায়াত শেষ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত মিছিল করতে পারলেও সমাবেশ করতে পারেনি।
সকাল ১১টার দিকে শহরের স্টেশনবাজার এলাকা থেকে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর নেতৃত্বে বিশাল গণমিছিল দলের অস্থায়ী জেলা কার্যালয়ের সামনে এলে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়। এ সময় প্রধান অতিথি বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি কাজী গোলাম মোর্শেদের সভাপতিত্বে বিশাল সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক, সহসভাপতি রহিম নেওয়াজ, শহর বিএনপির সভাপতি আলহাজ রুহুল আমিন তালুকদার টগর, সাধারণ সম্পাদক ও নাটোর পৌরসভার মেয়র আলহাজ শেখ এমদাদুল হক আল মামুন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের মাদরাসা মোড়ে জনতা ব্যাংকের সামনে জামায়াত নেতাকর্মীরা সমবেত হলে সেখানে পুলিশ ও যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালান। জেলা আমীর অধ্যাপক ইউনুস আলী ও সেক্রেটারি অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেনকে এসময় হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচাতে এসে দলের ৫ নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় বিক্ষিপ্তভাবে জামায়াত নেতাকর্মীরা মিছিল করে মাদরাসা মোড় থেকে সরে যায়। মিছিল শেষে পুলিশ জামায়াতকর্মী দাখিল উদ্দিন, রবিউল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম ও জালাল উদ্দিনকে বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে তাদের বিরুদ্ধে ভাংচুর চেষ্টার অভিযোগে মামলা দেয়া হয়েছে।
ছাত্রলীগ ও যুবলীগের এসব হামলার ছবি তুলতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন ইসলামিক টিভির নাটোর প্রতিনিধি সালমান সাদিক তমাল। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর করে ক্যামেরা ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।
বরগুনায় সংঘর্ষ : গণমিছিল চলাকালে বরগুনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষে ১৫ জন পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ প্রায় ৩০ জন বিএনপি সমর্থককে গ্রেফতার করেছে। পরে বিএনপি অফিস ভাংচুর করেছে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা।
বিএনপি সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিশাল গণমিছিল শুরু করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি সদর রোড দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় পেছন থেকে পুলিশ লাঠিপেটা করলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে বিএনপি সমর্থকরা একত্রিত হয়ে মিছিল শুরু করলে সদর রোডের মাছ বাজার এলাকায় মিছিলকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৮-১০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন পুলিশসহ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। পুলিশ এ সময় ২৫-৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে। এর কিছুক্ষণ পরে পৌরসভা কার্যালয় এলাকা থেকে ছাত্রলীগকর্মীরা ধারালো অস্ত্রসহ বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের সামনেই তারা ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
বরগুনা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা জনান, ভোর থেকেই পুলিশ বিএনপি কার্যালয়টি ঘিরে রাখে। কোনো নেতাকর্মীকেই কার্যালয়ে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। পরে শান্তিপূর্ণভাবে তারা বিশাল একটি মিছিল শুরু করলে বিনা উসকানিতে পুলিশ এতে হামলা চালায়। পুলিশের নগ্ন হামলায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে এবং ২৫-৩০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে পুলিশের ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা বিএনপি কার্যালয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে সব আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে। দুপুরে মোবাইল কোর্ট দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রণক্ষেত্র : গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের সঙ্গে চারদলীয় জোটের নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষে শহরের টিএ রোড রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় শহরের টিএ রোডে দোকানপাটসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন চলাচল আধঘণ্টা বন্ধ থাকে। সকাল সোয়া ১১টায় টিএ রোড দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর একটি বিক্ষোভ মিছিল অতিক্রম করার সময় পুলিশ মিছিলটিকে বাধা প্রদান এবং ব্যাপক লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখন তাদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর সংঘর্ষ হয়। রেলগেট এলাকায় অবস্থানকারী জোট নেতাকর্মীদের সঙ্গেও পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি কাজী ইয়াকুবসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। পুলিশ ৮ রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে মিছিলকারীদের সরিয়ে দেয়। এ সময় টিএ রোড এলাকায় চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। যানবাহন ও দোকানপাট দ্রুত বন্ধ হয়ে যায়।
ঝালকাঠিতে হামলা : বিএনপির অফিসের সামনে ছাত্রলীগের দফায় দফায় মোটরসাইকেল মহড়া ও বাধার কারণে ঝালকাঠিতে বিএনপির গণমিছিল পণ্ড হয়ে যায়। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীর হাতে ঝালকাঠির সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন লাঞ্ছিত হন। বিএনপির গণমিছিল সফল করতে সকাল থেকেই শহরের পোস্ট অফিস রোডে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে। বেলা ১১টায় সহস্রাধিক নেতাকর্মী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মিঞা আহমেদ কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুরের নেতৃত্বে মিছিলের প্রস্তুতি নেয়। এদিকে সকাল থেকেই বিপুলসংখ্যক পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। মিছিল শুরু হওয়ার সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মহড়া দিতে থাকে। এ অবস্থায় পুলিশ বিএনপি ও ছাত্রলীগের কর্মীদের মাঝে অবস্থান নিলে ছাত্রলীগের কর্মী সুমন সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ সময় পুলিশ ছাত্রলীগের ওই কর্মীকে আটক করলেও ছাত্রলীগের নেতারা তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পুলিশ ও ছাত্রলীগের বাধা উপেক্ষা করে বিএনপি মিছিল শুরু করলে পুলিশ মিছিলের ব্যানার কেড়ে নিয়ে যায়। এ অবস্থায় বিএনপির কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে মিছিল পণ্ড হয়ে যায়।
মাদারীপুরে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ১৭ : জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহান্দার আলী জাহানের নেতৃত্বে সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের সুমন হোটলের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু করলে কালীবাড়ী এলাকায় আসামাত্রই পুলিশ লাঠিচার্জ করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহান্দার আলী জাহানসহ ১৭ জন নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী হুমায়ন কবীর, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহান্দার আলী জাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জামিনুর হোসেন মিঠু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আ. রব বেপারি, নজরুল ইসলাম লিটু, মজিবর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোফাজ্জেল হোসেন মফা, সাধারণ সম্পাদক অহিদুজ্জামান খান প্রমুখ।
এদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি আবুবকর সিদ্দিকের (আবু মুন্সী) নেতৃত্বে বিকাল ৪টায় শহরের রেণ্ডিতলা শহীদ মিনারের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু করলে পুলিশের বাধায় বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় তারা বিক্ষোভ সমাবেশে করেন।
জামালপুরে পুলিশি বাধায় আহত ১৫ : পুলিশি বাধার মুখে গণমিছিল করতে পারেনি জামালপুর জেলা বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বৈশাখী মেলার মাঠে সমাবেশ শেষে গণমিছিল বের করার সময় বাধা দেয় পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। অপরদিকে লাঠিচার্জের জবাবে নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে ৩ পুলিশসহ প্রায় ১৫ জন বিএনপির নেতাকর্মী আহত হন। আহতরা হলেন জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ মিয়া, ছাত্রদল নেতা মনোয়ার হোসেন কর্নেল, মাসুদ প্রমুখ। এছাড়া এসআই মোখলেছুর রহমান, আ. আওয়াল, কনস্টেবল মাসুদ বিক্ষোভকারীদের ইটপাটকেলে আহত হয়েছেন। গণমিছিল বন্ধ করতে শনিবার রাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে মিছিল : পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে চাঁপাইনবাবগঞ্জে রোববার বিকালে গণমিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকাল ৪টায় শহরের পাঠানপাড়ায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিল বের হওয়ার কথা থাকলেও এর অনেক আগে থেকেই দলীয় নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হতে থাকেন। তবে সকালেই বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ ও জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক শাহজাহান মিয়ার নেতৃত্বে গণমিছিল বের হলে দলীয় অফিসের সামনেই পুলিশ বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করেই গণমিছিলটি নিউ মার্কেটের সামনে দিয়ে ক্লাব সুপার মার্কেট চত্বরে শেষ হয়। মিছিলে বিএনপি ও অন্য সহযোগী সংগঠনগুলো ছাড়াও মহিলা দলের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। ক্লাব সুপার মার্কেট চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি হারুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবর আলী, গোমস্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান খুরশেদ আলম বাচ্চু প্রমুখ।
 

BANGLADESHI UPDATE NEWS Copyright © 2011 - |- Template created by O Pregador - |- Powered by Blogger Templates