ঢাকা/কুমিল্লা, জানুয়ারি ২০:- এক ভারতীয় নিহত হওয়ার পর ‘অপহৃত’ বিজিবি সদস্যকে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিএসএফ প্রধান।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন টেলিফোনে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর প্রধান ইউ কে বানসালের সঙ্গে কথা বলেন।
বিজিবি সদস্য লুৎফর রহমানকে অতি সত্বর ফেরত দেওয়ার কথা বিএসএফ প্রধান জানিয়েছেন বলে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহসিন রেজা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
ভোরে কুমিল্লা ও ভারতের ত্রিপুরা সীমান্তের ‘নোম্যান্স ল্যান্ডে’ বিজিবি সদস্যদের গুলিতে এক ভারতীয় নাগরিক নিহত হওয়ার পর ভারতীয়রা হাবিলদার লুৎফরকে তুলে নিয়ে যায়।
পরে বিএসএফ জানায়, লুৎফর তাদের হেফাজতে রয়েছে।
লুৎফরকে ফেরত আনতে দুই সীমান্ত রক্ষী বাহিনী দুপুরের পর এক দফা পতাকা বৈঠক করলেও তাতে কোনো ফল আসেনি।
বিজিবির দাবি, নিহত ভারতীয় নাগরিক শাহ আলম মাদক চোরাচালানে যুক্ত। তার বাড়ি ত্রিপুরার সোনামুড়া এলাকায়।
তবে বিএসএফ কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতের সংবাদ মাধ্যমের খবর- তিনি ভারতের সাধারণ নাগরিক। বিজিবি সদস্যরা ভারতের সীমান্তে ঢুকে গুলি চালালে শাহ আলম নিহত হন।
বিজিবি কর্মকর্তারা জানায়, ভারত থেকে ফেনসিডিলের একটি চালান সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আনার খবর পেয়ে বিজিবির বোয়ারা ক্যাম্পের একটি টহল দলকে সদর দক্ষিণ উপজেলার দলকুইয়া গ্রামে পাঠানো হয়। চোরাকারবারিরা বিষয়টি টের পেয়ে হামলা চালালে বিজিবি সদস্যরা কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। এতে শাহ আলম (৪০) নিহত হন।
ওই ঘটনার পর শাহ আলামের সহযোগী ও ভারতীয় গ্রামবাসী বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় তিন জওয়ান সেখান থেকে ফিরে আসতে পারলেও ৫৫ বছর বয়সী হাবিলদার লুৎফরকে ধরে ওপারে নিয়ে যায় ভারতীয়রা।
এরপর তারাপুকুর সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকে বসেন বিজিবি কর্মকর্তারা। প্রায় দেড় ঘণ্টা আলোচনার পর বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আক্তারুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিএসফের পক্ষে পতাকা বৈঠকে অংশ নেন ২৯ ব্যাটালিয়নের গাউসভা ধনপুকুর ক্যাম্পের কমান্ডার একে হেলবরম ও ডেপুটি কমান্ডার অনিল কুমার।
৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মেজর ইশতিয়াক আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, প্রথম দফা বৈঠকের পর দ্বিতীয় দফায় আরেকটি বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে।
লুৎফরের অবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, “তারা (বিএসএফ) পতাকা বৈঠকে আমাদের বলেছে, লুৎফর ভালো আছেন। তবে তার সঙ্গে দেখা করতে বা কথা বলতে দিতে রাজি হয়নি তারা।”