বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: বিএনপির
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলমসহ নেতাকর্মীদের নির্যাতন থেকে
শক্তি সঞ্চয় করে সোমবার বিক্ষোভ ও মঙ্গলবার হরতাল কর্মসূচি পালন করবে ১৮
দলীয় জোট।
অবরোধ চলাকালে রাজধানীর আমিনবাজার এলাকায় গুলিবিদ্ধ নাজিম উদ্দিনকে স্কয়ার হাসপাতালে দেখতে গিয়ে একথা বলেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের ডাকা অবরোধে রোববার বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ও সরকার সমর্থকদের সঙ্গে অবরোধকারীদের সংঘর্ষে পেটে গুলিবিদ্ধ হন নাজিম উদ্দিন। পরে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিন রাত পৌনে ১১টায় স্কয়ার হাসপাতালে আসেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) মহাসচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন।
রাত ১১টা ১০ মিনিটে হাসপাতাল ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া।
এসময় খালেদা জিয়ার পক্ষে সাদেক হোসেন খোকা সাংবাদিকদের বলেন, “বিকেল থেকেই নাজিম উদ্দিন আলমের অবস্থা অবনতির হতে থাকে। এ পর্যন্ত তার তিনটি অপারেশন করা হয়েছে। তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এই মুহূর্তে উন্নত চিকিসার জন্য তাকে বাইরে নেওয়াও সম্ভব নয়।”
খোকা জানান, “নেত্রী নাজিম উদ্দিনের চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। পুলিশি নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে নেত্রী বলেন, নাজিম উদ্দিন আলমের নির্যাতনের মাধ্যমে আমরা আরও শক্তি সঞ্চয় করেছি এবং সেই শক্তি নিয়ে বিক্ষোভ ও হরতাল কর্মসূচি পালন করবো।”
রোববারের অবরোধে দেশব্যাপী ব্যাপক সংঘর্ষ, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। এতে নিহত হন তিনজন। এর প্রতিবাদে সোমবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও মঙ্গলবার হরতালের ডাক দিয়েছে ১৮ দল।
খালেদা জিয়া সরকারকে হুশিয়ার করে বলেছেন, “প্রশাসনের সহযোগিতা না থাকলে আওয়ামী লীগের টিকিও খুঁজে পাওয়া যাবে না।”
স্কয়ার হাসপাতালে ড্যাব মহাসচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “নাজিম উদ্দিনের ডান পাজরে দুই ইঞ্চি ভেতরে খাদ্যনালী পর্যন্ত গুলি ঢুকেছে। এ পর্যন্ত তার আড়াই লিটারের মতো রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। এখনও দুটি গুলি ভেতরে রয়েছে। তবে তার রক্তচাপ স্বাভাবিক। তাকে কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাস দেওয়া হচ্ছে।”
চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, “২৪ ঘণ্টা না গেলে তার অবস্থা বোঝা যাবে না।”
ছবি: আশিক/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
|
অবরোধ চলাকালে রাজধানীর আমিনবাজার এলাকায় গুলিবিদ্ধ নাজিম উদ্দিনকে স্কয়ার হাসপাতালে দেখতে গিয়ে একথা বলেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের ডাকা অবরোধে রোববার বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ও সরকার সমর্থকদের সঙ্গে অবরোধকারীদের সংঘর্ষে পেটে গুলিবিদ্ধ হন নাজিম উদ্দিন। পরে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিন রাত পৌনে ১১টায় স্কয়ার হাসপাতালে আসেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) মহাসচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন।
রাত ১১টা ১০ মিনিটে হাসপাতাল ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া।
এসময় খালেদা জিয়ার পক্ষে সাদেক হোসেন খোকা সাংবাদিকদের বলেন, “বিকেল থেকেই নাজিম উদ্দিন আলমের অবস্থা অবনতির হতে থাকে। এ পর্যন্ত তার তিনটি অপারেশন করা হয়েছে। তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এই মুহূর্তে উন্নত চিকিসার জন্য তাকে বাইরে নেওয়াও সম্ভব নয়।”
খোকা জানান, “নেত্রী নাজিম উদ্দিনের চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। পুলিশি নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে নেত্রী বলেন, নাজিম উদ্দিন আলমের নির্যাতনের মাধ্যমে আমরা আরও শক্তি সঞ্চয় করেছি এবং সেই শক্তি নিয়ে বিক্ষোভ ও হরতাল কর্মসূচি পালন করবো।”
রোববারের অবরোধে দেশব্যাপী ব্যাপক সংঘর্ষ, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। এতে নিহত হন তিনজন। এর প্রতিবাদে সোমবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও মঙ্গলবার হরতালের ডাক দিয়েছে ১৮ দল।
খালেদা জিয়া সরকারকে হুশিয়ার করে বলেছেন, “প্রশাসনের সহযোগিতা না থাকলে আওয়ামী লীগের টিকিও খুঁজে পাওয়া যাবে না।”
স্কয়ার হাসপাতালে ড্যাব মহাসচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “নাজিম উদ্দিনের ডান পাজরে দুই ইঞ্চি ভেতরে খাদ্যনালী পর্যন্ত গুলি ঢুকেছে। এ পর্যন্ত তার আড়াই লিটারের মতো রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। এখনও দুটি গুলি ভেতরে রয়েছে। তবে তার রক্তচাপ স্বাভাবিক। তাকে কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাস দেওয়া হচ্ছে।”
চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, “২৪ ঘণ্টা না গেলে তার অবস্থা বোঝা যাবে না।”