নড়াইলের একটি দোকানে সাজিয়ে রাখা নিষদ্ধঘোষিত দুই ধরনের পণ্য
বাংলাদেশে
পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড
টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) গত ১৩ অক্টোবর ৩১টি কোম্পানির ৪৩টি
খাদ্যপণ্যের লাইসেন্স বাতিল করে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এখনো দেশের বিভিন্ন
স্থানে বিক্রয়-নিষিদ্ধ পণ্যগুলো বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করেই বিক্রি করা
হচ্ছে।
বড় কোম্পানিগুলোর নিষিদ্ধ হওয়া বেশি চালু পণ্যগুলো বাজারে বেশি বিকোচ্ছে। এই কোম্পানিগুলোর কেউই তাদের পণ্য বিক্রি বন্ধের জন্য সরবরাহকারীদের কোনো নির্দেশ গতকাল সোমবার পর্যন্ত দেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোম্পানিগুলোর মাঠপর্যায়ের বিক্রয় প্রতিনিধিরাও এখনো পণ্য বিক্রি বন্ধের নির্দেশনা পাননি।
বিএসটিআই আইন, ২০০৩ (সংশোধনী)-এর ৮ ধারা অনুযায়ী, অনুমোদন ছাড়া বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়। শাস্তিস্বরূপ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং দুই বছরের জেল হতে পারে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিষিদ্ধ পণ্য বন্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
বিক্রির লাইসেন্স নেওয়ার সময় পণ্যের যে গুণগত মান বজায় রাখার বাধ্যবাধকতা ছিল, তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় মান নিয়ন্ত্রণকারী পরীক্ষাগারের সুপারিশের আলোকে পণ্যগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা হয় বলে বিএসটিআই জানায়। এসব পণ্যের মোড়কে লোগো ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি পণ্যগুলো কেনাবেচার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধও জানায় বিএসটিআই।
নিষিদ্ধ হওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে আছে ফ্রুট ড্রিংকস (ফলজাতীয় পানীয়), ওয়েফার বিস্কুট, সেমাই, ঘি, চাটনি, ধনিয়া গুঁড়া।
বিএসটিআই সূত্র জানায়, নিষিদ্ধ হওয়া পণ্যগুলো ঐচ্ছিক পণ্য। তাই প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে এসব পণ্য বাজারজাত করতে পারবে, কিন্তু অবশ্যই সে ক্ষেত্রে বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
এদিকে ৪ নভেম্বর নিষিদ্ধ পণ্যগুলোর মধ্যে প্রাণ কোম্পানির আম, কমলাসহ বিভিন্ন ফলের নামে জুস উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও বিপণন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট একটি রুল জারি করেন।
বিক্রয়-নিষিদ্ধ পণ্য বিক্রির চিত্র: বগুড়া শহরের বিভিন্ন মহল্লার দোকানগুলোতে দেদার বিক্রি হচ্ছে প্রাণ অরেঞ্জ ও প্রাণ লিচু ড্রিংক। বিএসটিআই প্রাণ কোম্পানির ছয় ধরনের ফ্রুট ড্রিংকস বাতিল করে। গতকাল পাইকারি ও খুচরা উভয় ধরনের দোকানে এসব পণ্য বিক্রি হতে দেখা গেছে। খুচরা পর্যায়ে বেশির ভাগ ক্রেতাই শিশু-কিশোর।
বগুড়া শহরের রাজাবাজার ছাতাপট্টি মার্কেটের বেশ কিছু দোকানে দেখা গেছে, প্রাণ অরেঞ্জ ও প্রাণ লিচু ড্রিংকস থরে থরে সাজানো। এখানকার আশরাফিয়া স্টোরের জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এখনো কোম্পানি থেকে এসব ড্রিংকস বিক্রি না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। প্রাণের পরিবেশক পটু স্টোরের পটু মিয়া বলেন, ‘প্রাণের কোন পণ্যের বিক্রি নিষিদ্ধ হয়েছে, সেটা কোম্পানি পরিবেশকদের জানায়নি। জানলে এটা বিক্রি করতাম না।’
বগুড়ায় প্রাণের আঞ্চলিক বিক্রয় প্রতিনিধি কমল দাশ গতকাল মুঠোফোনে জানান, বাজারে প্রাণের ফ্রুট ড্রিংকসগুলো বিক্রি হচ্ছে। বিক্রি বন্ধের কোনো নির্দেশনা গতকাল পর্যন্ত তিনি পাননি।
নড়াইলের বিভিন্ন জায়গায় কয়েকটি কোম্পানির নিষিদ্ধ পণ্য বিক্রি হতে দেখা গেছে। বিএসটিআই প্রমি এগ্রো ফুডস লিমিটেডের দুটি ড্রিংকস (অরেঞ্জ ও লিচি) বিক্রি নিষিদ্ধ করে। এই প্রতিষ্ঠানের নড়াইলের বিপণন কর্মকর্তা বজলুর রহমান দাবি করেন, সরকার তাঁদের কোনো পণ্যই বাতিল করেনি। কিছু পণ্য পরীক্ষার জন্য বাজারজাত করতে সাময়িকভাবে নিষেধ করেছে।
ঢাকার তেজতুরী বাজারে ডিংডং নামে একটি ওয়েফার বিস্কুট বিক্রি করছিলেন মো. বাবুল। এই বিস্কুটের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হক ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। বিএসটিআই এই কোম্পানির ছয় ধরনের ওয়েফার বিস্কুট বিক্রি নিষিদ্ধ করে। মো. বাবুল বলেন, ‘আমি জানি না যে এটার বিক্রি নিষেধ। কোম্পানির লোকজনও কিছু জানায়নি। জানলে বিক্রি করতাম না।’
গত রোববার মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমসেরনগর, ভানুগাছ, শহীদনগর এবং কুলাউড়া উপজেলার পীরেরবাজার ঘুরে বিক্রয়-নিষিদ্ধ মডার্ন কোম্পানির ফ্রুট ড্রিংকস বিক্রি হতে দেখা গেছে। সরবরাহকারীদের কাছে বিক্রি বন্ধ করার জন্য কোনো নির্দেশনা আসেনি।
কমলগঞ্জ পৌরসভার ভানুগাছের ক্রেতা আবদুর রাজ্জাক ও শামছু মিয়া বলেন, ‘বড় বড় কোম্পানি এভাবে নিয়মিত প্রতারণা করছে, তা ক্রেতা হিসেবে আমাদের জানার বাইরে ছিল। এখন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
বিএসটিআই ও ক্যাবের বক্তব্য: বিএসটিআইয়ের উপপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম জানান, কোম্পানিগুলো বিক্রয়-নিষিদ্ধ পণ্য এখনো বাজারে রেখে অন্যায় করেছে। শিগগিরই এসব পণ্য তুলে নেওয়ার জন্য অভিযানে নামা হবে।
নিষিদ্ধ হওয়ার পর পণ্য বিক্রি করাকে নিন্দনীয় হিসেবে আখ্যায়িত করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি কাজী ফারুক। তিনি বলেন, কোম্পানিগুলো যে ভোক্তাদের স্বার্থকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে, নিষিদ্ধ হওয়ার পর পণ্য তুলে না নেওয়াটাই তার প্রমাণ। আইন অমান্য করা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান কাজী ফারুক।
বিভিন্ন কোম্পানির বক্তব্য: হক ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কর এ হাফিজ জানান, নিষিদ্ধ হওয়া ছয়টি পণ্যের মধ্যে পাঁচটির উৎপাদন ২০১০ সালে বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি স্বীকার করেন, বিএসটিআইয়ের লোগোসহ ডিংডং এখনো বাজারে আছে। এগুলো এখনো বাজার থেকে প্রত্যাহার করা সম্ভব হয়নি। তবে নতুন পণ্য বাজারে গেলে তাতে কোনো লোগো ব্যবহার করা হবে না বলে জানান তিনি।
প্রাণ গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার পর প্রাণ থেকে আর কোনো পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে একটি চিঠি প্রাণের বিক্রয় প্রতিনিধি ও সরবরাহকারীদের কাছে পাঠানো হয়েছে ঈদের আগেই।
মাঠপর্যায়ে এমন চিঠি না পাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, অনেক জায়গায় চিঠি গেছে। কোথাও দেরি হতে পারে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন কার্ত্তিক দাস, নড়াইল; আনোয়ার পারভেজ, বগুড়া ও মুজিবুর রহমান, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার]
বড় কোম্পানিগুলোর নিষিদ্ধ হওয়া বেশি চালু পণ্যগুলো বাজারে বেশি বিকোচ্ছে। এই কোম্পানিগুলোর কেউই তাদের পণ্য বিক্রি বন্ধের জন্য সরবরাহকারীদের কোনো নির্দেশ গতকাল সোমবার পর্যন্ত দেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোম্পানিগুলোর মাঠপর্যায়ের বিক্রয় প্রতিনিধিরাও এখনো পণ্য বিক্রি বন্ধের নির্দেশনা পাননি।
বিএসটিআই আইন, ২০০৩ (সংশোধনী)-এর ৮ ধারা অনুযায়ী, অনুমোদন ছাড়া বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয়। শাস্তিস্বরূপ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং দুই বছরের জেল হতে পারে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিষিদ্ধ পণ্য বন্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
বিক্রির লাইসেন্স নেওয়ার সময় পণ্যের যে গুণগত মান বজায় রাখার বাধ্যবাধকতা ছিল, তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় মান নিয়ন্ত্রণকারী পরীক্ষাগারের সুপারিশের আলোকে পণ্যগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা হয় বলে বিএসটিআই জানায়। এসব পণ্যের মোড়কে লোগো ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি পণ্যগুলো কেনাবেচার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধও জানায় বিএসটিআই।
নিষিদ্ধ হওয়া পণ্যগুলোর মধ্যে আছে ফ্রুট ড্রিংকস (ফলজাতীয় পানীয়), ওয়েফার বিস্কুট, সেমাই, ঘি, চাটনি, ধনিয়া গুঁড়া।
বিএসটিআই সূত্র জানায়, নিষিদ্ধ হওয়া পণ্যগুলো ঐচ্ছিক পণ্য। তাই প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে এসব পণ্য বাজারজাত করতে পারবে, কিন্তু অবশ্যই সে ক্ষেত্রে বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
এদিকে ৪ নভেম্বর নিষিদ্ধ পণ্যগুলোর মধ্যে প্রাণ কোম্পানির আম, কমলাসহ বিভিন্ন ফলের নামে জুস উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও বিপণন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট একটি রুল জারি করেন।
বিক্রয়-নিষিদ্ধ পণ্য বিক্রির চিত্র: বগুড়া শহরের বিভিন্ন মহল্লার দোকানগুলোতে দেদার বিক্রি হচ্ছে প্রাণ অরেঞ্জ ও প্রাণ লিচু ড্রিংক। বিএসটিআই প্রাণ কোম্পানির ছয় ধরনের ফ্রুট ড্রিংকস বাতিল করে। গতকাল পাইকারি ও খুচরা উভয় ধরনের দোকানে এসব পণ্য বিক্রি হতে দেখা গেছে। খুচরা পর্যায়ে বেশির ভাগ ক্রেতাই শিশু-কিশোর।
বগুড়া শহরের রাজাবাজার ছাতাপট্টি মার্কেটের বেশ কিছু দোকানে দেখা গেছে, প্রাণ অরেঞ্জ ও প্রাণ লিচু ড্রিংকস থরে থরে সাজানো। এখানকার আশরাফিয়া স্টোরের জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এখনো কোম্পানি থেকে এসব ড্রিংকস বিক্রি না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। প্রাণের পরিবেশক পটু স্টোরের পটু মিয়া বলেন, ‘প্রাণের কোন পণ্যের বিক্রি নিষিদ্ধ হয়েছে, সেটা কোম্পানি পরিবেশকদের জানায়নি। জানলে এটা বিক্রি করতাম না।’
বগুড়ায় প্রাণের আঞ্চলিক বিক্রয় প্রতিনিধি কমল দাশ গতকাল মুঠোফোনে জানান, বাজারে প্রাণের ফ্রুট ড্রিংকসগুলো বিক্রি হচ্ছে। বিক্রি বন্ধের কোনো নির্দেশনা গতকাল পর্যন্ত তিনি পাননি।
নড়াইলের বিভিন্ন জায়গায় কয়েকটি কোম্পানির নিষিদ্ধ পণ্য বিক্রি হতে দেখা গেছে। বিএসটিআই প্রমি এগ্রো ফুডস লিমিটেডের দুটি ড্রিংকস (অরেঞ্জ ও লিচি) বিক্রি নিষিদ্ধ করে। এই প্রতিষ্ঠানের নড়াইলের বিপণন কর্মকর্তা বজলুর রহমান দাবি করেন, সরকার তাঁদের কোনো পণ্যই বাতিল করেনি। কিছু পণ্য পরীক্ষার জন্য বাজারজাত করতে সাময়িকভাবে নিষেধ করেছে।
ঢাকার তেজতুরী বাজারে ডিংডং নামে একটি ওয়েফার বিস্কুট বিক্রি করছিলেন মো. বাবুল। এই বিস্কুটের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হক ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। বিএসটিআই এই কোম্পানির ছয় ধরনের ওয়েফার বিস্কুট বিক্রি নিষিদ্ধ করে। মো. বাবুল বলেন, ‘আমি জানি না যে এটার বিক্রি নিষেধ। কোম্পানির লোকজনও কিছু জানায়নি। জানলে বিক্রি করতাম না।’
গত রোববার মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমসেরনগর, ভানুগাছ, শহীদনগর এবং কুলাউড়া উপজেলার পীরেরবাজার ঘুরে বিক্রয়-নিষিদ্ধ মডার্ন কোম্পানির ফ্রুট ড্রিংকস বিক্রি হতে দেখা গেছে। সরবরাহকারীদের কাছে বিক্রি বন্ধ করার জন্য কোনো নির্দেশনা আসেনি।
কমলগঞ্জ পৌরসভার ভানুগাছের ক্রেতা আবদুর রাজ্জাক ও শামছু মিয়া বলেন, ‘বড় বড় কোম্পানি এভাবে নিয়মিত প্রতারণা করছে, তা ক্রেতা হিসেবে আমাদের জানার বাইরে ছিল। এখন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
বিএসটিআই ও ক্যাবের বক্তব্য: বিএসটিআইয়ের উপপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম জানান, কোম্পানিগুলো বিক্রয়-নিষিদ্ধ পণ্য এখনো বাজারে রেখে অন্যায় করেছে। শিগগিরই এসব পণ্য তুলে নেওয়ার জন্য অভিযানে নামা হবে।
নিষিদ্ধ হওয়ার পর পণ্য বিক্রি করাকে নিন্দনীয় হিসেবে আখ্যায়িত করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি কাজী ফারুক। তিনি বলেন, কোম্পানিগুলো যে ভোক্তাদের স্বার্থকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে, নিষিদ্ধ হওয়ার পর পণ্য তুলে না নেওয়াটাই তার প্রমাণ। আইন অমান্য করা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান কাজী ফারুক।
বিভিন্ন কোম্পানির বক্তব্য: হক ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কর এ হাফিজ জানান, নিষিদ্ধ হওয়া ছয়টি পণ্যের মধ্যে পাঁচটির উৎপাদন ২০১০ সালে বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি স্বীকার করেন, বিএসটিআইয়ের লোগোসহ ডিংডং এখনো বাজারে আছে। এগুলো এখনো বাজার থেকে প্রত্যাহার করা সম্ভব হয়নি। তবে নতুন পণ্য বাজারে গেলে তাতে কোনো লোগো ব্যবহার করা হবে না বলে জানান তিনি।
প্রাণ গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার পর প্রাণ থেকে আর কোনো পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে একটি চিঠি প্রাণের বিক্রয় প্রতিনিধি ও সরবরাহকারীদের কাছে পাঠানো হয়েছে ঈদের আগেই।
মাঠপর্যায়ে এমন চিঠি না পাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, অনেক জায়গায় চিঠি গেছে। কোথাও দেরি হতে পারে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন কার্ত্তিক দাস, নড়াইল; আনোয়ার পারভেজ, বগুড়া ও মুজিবুর রহমান, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার]