সোনালী ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের সাড়ে ৩ গুণ অর্থ আত্মসাত্ করেছে
হলমার্কসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। বিপুল পরিমাণ এ অর্থ উদ্ধারে কোনো কার্যকর
পদক্ষেপ নেয়নি ব্যাংকটি। এ আত্মসাতের ঘটনায় সরকারও অনেকটা নির্বিকার। আর
সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তায় অপরাধীরা বারবার উত্সাহিত হয়েছে। এখন
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আত্মসাতের ঘটনা যে কোনোভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা
চলছে। অথচ বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা ওপর মহলের চাপে এ কাজে বাধ্য হয়েছে
বলে জানালেও সোনালী ব্যাংকের পর্ষদ সব দায় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ওপর
চাপিয়েছে। আর অর্থ আত্মসাতের দায় স্বীকারের পরও হলমার্কের বিরুদ্ধে কোনো
আইনি ব্যবস্থা না নেয়ায় অর্থ ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে চরম অনিশ্চয়তা দেখা
দিয়েছে।
সোনালী ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ঋণপত্রের বিপরীতে অতিরিক্ত প্রিশিপমেন্ট ঋণ সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে হলমার্ক গ্রুপ ২ হাজার ৬৬৮ কোটি, টি অ্যান্ড ব্রাদার্স গ্রুপ ৬৮৫ কোটি ৬৩ লাখ, প্যারাগন গ্রুপ ১৪৪ কোটি ৪৪ লাখ, ডিএন স্পোর্টস গ্রুপ ২৮ কোটি ৫৪ লাখ, নকশী নিট গ্রুপ ৬৫ কোটি ৩০ লাখ এবং অন্যান্য ১৫ কোটি ১২ লাখ টাকা আত্মসাত্ করেছে। মোট ৩ হাজার ৬০৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকার মধ্যে ১ হাজার ৯৪৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা ফান্ডেড এবং ১ হাজার ৬৬০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ননফান্ডেড। এ ছাড়া আগারগাঁও শাখায় ১৮১ কোটি টাকা এবং গুলশান শাখায় ১২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে।
সোনালী ব্যাংক বলছে, হলমার্ক গ্রুপ আত্মসাতের অর্থ ফেরত দিতে এরই মধ্যে নগদ ও এক্সপোর্ট বিল বাবদ ২৭৭ কোটি টাকা দিয়েছে। আর বন্ধক হিসেবে সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় ২১৪৩ শতাংশ জমির কাগজপত্র জমা দিয়েছে। যার মূল্য ধরা হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা। সে হিসেবে প্রতি শতাংশ জমির দাম ধরা হয়েছে ৯৩ লাখ ৩২ হাজার টাকা। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ এলাকার উঁচু জমির দাম সর্বোচ্চ শতাংশ প্রতি ৫ লাখ টাকা। ফলে সোনালী ব্যাংকের কাছে বন্ধক রাখা জমির মূল্য বাজার দরের চেয়ে ১৯ গুণ বেশি দেখিয়েছে হলমার্ক গ্রুপ।
সোনালী ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় দেখা যায়, হলমার্ক গ্রুপের কাছে ফান্ডেড ও ননফান্ডেড ১৫৫ কোটি টাকা বকেয়া থাকার পরও ২০১১ সালের ২০ এপ্রিল পর্ষদের বৈঠকে ৬৫ কোটি টাকার মেয়াদি ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। অথচ ২০০৭ সাল থেকে কয়েকটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে হলমার্ক গ্রুপের ঋণপত্র খুলে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক পরিদর্শনেও বিষয়টি নজরে এলে ২০১০ সালে কয়েকবার সোনালী ব্যাংকের পর্ষদকে এ ব্যাপারে অবহিত করেছিল। এমনকি অন্যান্য ব্যাংককেও সোনালী ব্যাংকের ঋণপত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পর্ষদ হলমার্কের বিষয়ে অবহিত হওয়ার পরও এ ধরনের ঋণ অনুমোদনে আত্মসাতে তাদের সম্মতিই প্রমাণিত হয়। অথচ তারা এখন হলমার্ক কেলেঙ্কারির সব দায় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ওপর চাপাচ্ছে।
এদিকে, আজ ৮ সেপ্টেম্বর সোনালী ব্যাংকের পর্ষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আত্মসাতের ঘটনায় পর্ষদের অযোগ্যতা ও ব্যর্থতার দায়ে পুনর্গঠনের কথা বললেও অর্থমন্ত্রণালয় শেষ পর্যন্ত কোনো প্রকার ব্যবস্থা ছাড়াই বর্তমান পর্ষদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করানো হলো। এরই মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী বাহারুল ইসলামের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের ঘটনার পর থেকে সোনালী ব্যাংকের গ্রাহকরা চরম আস্থাহীনতায় পড়েছে। এতে আমানতকারীরা অর্থ তুলতে প্রতিদিনই ব্যাংকে গিয়ে ভিড় জমাচ্ছে। ফলে ব্যাংকটি দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে অনেকটা হিমশিম খাচ্ছে। বাধ্য হয়ে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে আন্তঃব্যাংক (কলমানি) মার্কেট থেকে ধার করে চলছে ব্যাংকটি। অথচ এক সময়ে কলমানি মার্কেটের সিংহভাগ অর্থই সোনালী ব্যাংক জোগান দিত। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ঈদের আগে সোনালী ব্যাংক গত ১২ আগস্ট ৭৫১ কোটি, ১৩ আগস্ট ৬৩১ কোটি এবং ১৪ আগস্ট ৫২৬ কোটি টাকা কলমানি মার্কেট থেকে ধার নিয়েছিল। আর বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ কোটি টাকা কলমানি মার্কেট থেকে ধার নিয়ে চলছে।
বিশ্লেষকদের মতে, অর্থমন্ত্রী ৪ হাজার কোটি টাকার মধ্যে অন্তত ২ হাজার কোটি টাকা আদায়ের কথা বলেছেন তাহলে বাকি অর্থ কি অনাদায়ী থেকে যাবে। দেশের আর্থিক খাতের অস্থিতিশীলতার মধ্যে তার এ বক্তব্যে অপরাধীরা উস্কানি পেয়েছে। আর দায় স্কীকারের পরও সোনালী ব্যাংকের কোনো মামলা দায়ের না করায় পর্ষদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাদের মতে, আসামিকে ছেড়ে দিয়ে যদি অর্থ আদায় করা যায় তাহলে গ্রেফতার করে কেন আদায় করা যাবে না?
হলমার্কসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা, আগারগাঁও ও গুলশান শাখা থেকে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাত্ করেছে। হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দুদকের কাছে আত্মসাতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিলেও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা করা হয়নি। বরং তার কাছে আত্মসাতের ২০ গুণ অর্থ রয়েছে এই সূত্র ধরে চিঠি চালাচালি চলছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর সোনালী ব্যাংক আত্মসাতের অর্ধেক পরিমাণ অর্থ নগদ ফেরত চেয়ে চিঠি দিয়েছে হলমার্ককে। এ জন্য হলমার্ককে ১৫ দিনের সময়ও বেঁধে দেয়া হয়। তবে এখনও এ ব্যাপারে মুখ খোলেনি হলমার্ক।
আত্মসাতের প্রক্রিয়ায় দেখা যায়, হলমার্ক গ্রুপ পোশাক তৈরির কাজে স্থানীয়ভাবে সুতা ও সুতাজাত পণ্য ক্রয়ের জন্য সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখায় এলসি খোলার আবেদন করে। সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে আনোয়ারা স্পিনিং, ম্যাক্স স্পিনিং, স্টার স্পিনিংসহ নামসর্বস্ব ৪৮ প্রতিষ্ঠানের নামে এলসি খোলা হয়। এসব প্রতিষ্ঠান মূলত হলমার্কের সৃষ্ট। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুসন্ধানে অনেক প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্বও পাওয়া যায়নি। আদতে এসব প্রতিষ্ঠান কোনো পণ্য সরবরাহ করেনি। তবে পণ্য সরবরাহের সপক্ষে ভুয়া কাগজপত্রের ভিত্তিতে বিল তৈরি করা হয়। এসব বিলে স্বীকৃতি দিয়ে বিল পরিশোধের তারিখ নির্ধারণ করেছিল সোনালী ব্যাংক। ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা এ স্বীকৃতি ও নিশ্চয়তার ভিত্তিতে এলসি অ্যাডভাইজিং বিভিন্ন ব্যাংক বিলগুলো কেনে এবং এ ভুয়া রফতানিকারকদের হিসাবে টাকা দিয়ে দেয় যার উপকারভোগী হলমার্ক।
সোনালী ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ঋণপত্রের বিপরীতে অতিরিক্ত প্রিশিপমেন্ট ঋণ সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে হলমার্ক গ্রুপ ২ হাজার ৬৬৮ কোটি, টি অ্যান্ড ব্রাদার্স গ্রুপ ৬৮৫ কোটি ৬৩ লাখ, প্যারাগন গ্রুপ ১৪৪ কোটি ৪৪ লাখ, ডিএন স্পোর্টস গ্রুপ ২৮ কোটি ৫৪ লাখ, নকশী নিট গ্রুপ ৬৫ কোটি ৩০ লাখ এবং অন্যান্য ১৫ কোটি ১২ লাখ টাকা আত্মসাত্ করেছে। মোট ৩ হাজার ৬০৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকার মধ্যে ১ হাজার ৯৪৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা ফান্ডেড এবং ১ হাজার ৬৬০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ননফান্ডেড। এ ছাড়া আগারগাঁও শাখায় ১৮১ কোটি টাকা এবং গুলশান শাখায় ১২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে।
সোনালী ব্যাংক বলছে, হলমার্ক গ্রুপ আত্মসাতের অর্থ ফেরত দিতে এরই মধ্যে নগদ ও এক্সপোর্ট বিল বাবদ ২৭৭ কোটি টাকা দিয়েছে। আর বন্ধক হিসেবে সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় ২১৪৩ শতাংশ জমির কাগজপত্র জমা দিয়েছে। যার মূল্য ধরা হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা। সে হিসেবে প্রতি শতাংশ জমির দাম ধরা হয়েছে ৯৩ লাখ ৩২ হাজার টাকা। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ এলাকার উঁচু জমির দাম সর্বোচ্চ শতাংশ প্রতি ৫ লাখ টাকা। ফলে সোনালী ব্যাংকের কাছে বন্ধক রাখা জমির মূল্য বাজার দরের চেয়ে ১৯ গুণ বেশি দেখিয়েছে হলমার্ক গ্রুপ।
সোনালী ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় দেখা যায়, হলমার্ক গ্রুপের কাছে ফান্ডেড ও ননফান্ডেড ১৫৫ কোটি টাকা বকেয়া থাকার পরও ২০১১ সালের ২০ এপ্রিল পর্ষদের বৈঠকে ৬৫ কোটি টাকার মেয়াদি ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। অথচ ২০০৭ সাল থেকে কয়েকটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে হলমার্ক গ্রুপের ঋণপত্র খুলে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক পরিদর্শনেও বিষয়টি নজরে এলে ২০১০ সালে কয়েকবার সোনালী ব্যাংকের পর্ষদকে এ ব্যাপারে অবহিত করেছিল। এমনকি অন্যান্য ব্যাংককেও সোনালী ব্যাংকের ঋণপত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পর্ষদ হলমার্কের বিষয়ে অবহিত হওয়ার পরও এ ধরনের ঋণ অনুমোদনে আত্মসাতে তাদের সম্মতিই প্রমাণিত হয়। অথচ তারা এখন হলমার্ক কেলেঙ্কারির সব দায় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ওপর চাপাচ্ছে।
এদিকে, আজ ৮ সেপ্টেম্বর সোনালী ব্যাংকের পর্ষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আত্মসাতের ঘটনায় পর্ষদের অযোগ্যতা ও ব্যর্থতার দায়ে পুনর্গঠনের কথা বললেও অর্থমন্ত্রণালয় শেষ পর্যন্ত কোনো প্রকার ব্যবস্থা ছাড়াই বর্তমান পর্ষদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করানো হলো। এরই মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী বাহারুল ইসলামের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের ঘটনার পর থেকে সোনালী ব্যাংকের গ্রাহকরা চরম আস্থাহীনতায় পড়েছে। এতে আমানতকারীরা অর্থ তুলতে প্রতিদিনই ব্যাংকে গিয়ে ভিড় জমাচ্ছে। ফলে ব্যাংকটি দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে অনেকটা হিমশিম খাচ্ছে। বাধ্য হয়ে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে আন্তঃব্যাংক (কলমানি) মার্কেট থেকে ধার করে চলছে ব্যাংকটি। অথচ এক সময়ে কলমানি মার্কেটের সিংহভাগ অর্থই সোনালী ব্যাংক জোগান দিত। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ঈদের আগে সোনালী ব্যাংক গত ১২ আগস্ট ৭৫১ কোটি, ১৩ আগস্ট ৬৩১ কোটি এবং ১৪ আগস্ট ৫২৬ কোটি টাকা কলমানি মার্কেট থেকে ধার নিয়েছিল। আর বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ কোটি টাকা কলমানি মার্কেট থেকে ধার নিয়ে চলছে।
বিশ্লেষকদের মতে, অর্থমন্ত্রী ৪ হাজার কোটি টাকার মধ্যে অন্তত ২ হাজার কোটি টাকা আদায়ের কথা বলেছেন তাহলে বাকি অর্থ কি অনাদায়ী থেকে যাবে। দেশের আর্থিক খাতের অস্থিতিশীলতার মধ্যে তার এ বক্তব্যে অপরাধীরা উস্কানি পেয়েছে। আর দায় স্কীকারের পরও সোনালী ব্যাংকের কোনো মামলা দায়ের না করায় পর্ষদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাদের মতে, আসামিকে ছেড়ে দিয়ে যদি অর্থ আদায় করা যায় তাহলে গ্রেফতার করে কেন আদায় করা যাবে না?
হলমার্কসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা, আগারগাঁও ও গুলশান শাখা থেকে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাত্ করেছে। হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দুদকের কাছে আত্মসাতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিলেও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা করা হয়নি। বরং তার কাছে আত্মসাতের ২০ গুণ অর্থ রয়েছে এই সূত্র ধরে চিঠি চালাচালি চলছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর সোনালী ব্যাংক আত্মসাতের অর্ধেক পরিমাণ অর্থ নগদ ফেরত চেয়ে চিঠি দিয়েছে হলমার্ককে। এ জন্য হলমার্ককে ১৫ দিনের সময়ও বেঁধে দেয়া হয়। তবে এখনও এ ব্যাপারে মুখ খোলেনি হলমার্ক।
আত্মসাতের প্রক্রিয়ায় দেখা যায়, হলমার্ক গ্রুপ পোশাক তৈরির কাজে স্থানীয়ভাবে সুতা ও সুতাজাত পণ্য ক্রয়ের জন্য সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখায় এলসি খোলার আবেদন করে। সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে আনোয়ারা স্পিনিং, ম্যাক্স স্পিনিং, স্টার স্পিনিংসহ নামসর্বস্ব ৪৮ প্রতিষ্ঠানের নামে এলসি খোলা হয়। এসব প্রতিষ্ঠান মূলত হলমার্কের সৃষ্ট। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুসন্ধানে অনেক প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্বও পাওয়া যায়নি। আদতে এসব প্রতিষ্ঠান কোনো পণ্য সরবরাহ করেনি। তবে পণ্য সরবরাহের সপক্ষে ভুয়া কাগজপত্রের ভিত্তিতে বিল তৈরি করা হয়। এসব বিলে স্বীকৃতি দিয়ে বিল পরিশোধের তারিখ নির্ধারণ করেছিল সোনালী ব্যাংক। ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা এ স্বীকৃতি ও নিশ্চয়তার ভিত্তিতে এলসি অ্যাডভাইজিং বিভিন্ন ব্যাংক বিলগুলো কেনে এবং এ ভুয়া রফতানিকারকদের হিসাবে টাকা দিয়ে দেয় যার উপকারভোগী হলমার্ক।