আওয়ামী সন্ত্রাসে অস্থির ক্যাম্পাস : আন্দোলনের মুখে জাবি প্রক্টরের পদত্যাগ, বগুড়ায় ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, নিরাপত্তাহীনতায় শাবি’র শিক্ষার্থীরা


ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের দলাদলিতে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। দুই সপ্তাহ ধরে দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের একাধিক গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বুয়েট, কুয়েট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহিংস ঘটনা ঘটেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা দলীয় এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় কয়েকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অশান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। সাধারণ শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করছেন। ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আরজু মিয়া পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হাতে এক ছাত্রী লাঞ্ছিত হয়েছেন। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার ধর্মঘটে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। আর এসব ঘটনায় প্রভাব বিস্তার করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ঘরানার শিক্ষকরাও জড়িয়ে পড়েছেন। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিজেই এসব ঘটনায় ইন্ধন দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ গতকাল বগুড়ার আযিযুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদলের ৭ কর্মী আহত হয়েছেন। এদিকে দেশের উচ্চশিক্ষার এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে চরম অস্থিরতায় সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, এসব ঘটনায় সরকার উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত। যারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে, তাদের ছাড় দেয়া হবে না।
আন্দোলনের মুখে জাবি প্রক্টরের পদত্যাগ, শিক্ষকদের কর্মসূচি চলবে : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জুবায়ের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক আরজু মিয়া। গতকাল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। এদিকে সব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন জাবির শিক্ষকরা। তবে আজ থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির নেতারা।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে অবস্থান গ্রহণ কর্মসূচি পালন শেষে ভিসি অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের কাছে খুনিদের ছাত্রত্ব বাতিল ও রাষ্ট্রীয় আইনে বিচার, খুনিদের মদতদাতা ও ইন্ধনদাতাদের ছবিসহ নাম প্রকাশ ও বিচার, প্রক্টর ও নিরাপত্তা কর্মকর্তার পদত্যাগ এবং পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল সেন্টার প্রতিষ্ঠার দাবিতে স্মারকলিপি দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ভিসি অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির খুব দ্রুত তাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। বিকালে আবার সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এদিকে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সিনেট হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিজের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন প্রক্টর অধ্যাপক আরজু মিয়া। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এর আগেও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রক্টররা এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধ করতে পারেননি। শিক্ষা কার্যক্রম বজায় রাখা ও আমার প্রাণপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে ওই ন্যক্কারজনক বিবৃৃতি ও পাতানো রাজনৈতিক খেলার প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করে প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক আবুল খায়েরসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রক্টরের পদত্যাগের ঘোষণায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানরত শিক্ষকরা আনন্দ প্রকাশ করেন এবং তাদের অন্যসব দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান। শিক্ষক সমাজের ব্যানারে সাধারণ শিক্ষকরা গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় মুন্নী চত্বর থেকে মৌন মিছিল করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমাবেশ করেছিলেন। পরে তারা বেলা ২টার দিকে সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা জুবায়ের হত্যার বিচারে প্রশাসনের মদতপুষ্ট তদন্ত কমিটি বাতিল করে তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট প্রকাশ ও জুবায়েরের সব খুনিকে চূড়ান্ত শাস্তি দেয়া, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের অপসারণ, গণনিয়োগের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া দলীয় অযোগ্য শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে মারধরকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে শস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে জাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এএ মামুন, সাধারণ সম্পাদক ড. মো. শরিফ উদ্দিন, অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন, অধ্যাপক এমএ মতিন, অধ্যাপক শামছুল আলম সেলিম, অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আজ থেকে তারা ক্লাস শুরু করবেন বলেও জানান।
গত ৯ জানুয়ারি ছাত্রলীগের ক্যাডারদের হাতে জুবায়ের খুন হওয়ার পর থেকে তার হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচার, প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের পদত্যাগ এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে আক্রমণকারী প্রক্টরের বিচার দাবিতে সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন, মিছিল, সমাবেশসহ নানামুখী আন্দোলন করছেন। এ পর্যন্ত ভিসিপন্থী গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মী আশিকুল ইসলাম, মাহবুব আকরাম ও নাজমুস সাকিব তপুকে পুলিশ আটক করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে জড়িত ৩ ছাত্রলীগ ক্যাডারকে। এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নিরাপত্তাহীনতায় শাবি শিক্ষার্থীরা : সিলেট অফিস জানিয়েছে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের একগুঁয়েমিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবন হুমকির সম্মুখীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রক্টর হিমাদ্রী শেখর রায়ের চরম ব্যর্থতায় শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। শিক্ষার্থীরা দিন কাটাচ্ছেন চরম আতঙ্কে। ইতোমধ্যে আবাসিক হল ও ক্যাম্পাসে হামলার আশঙ্কায় সাধারণ ছাত্ররা হল ছাড়তে শুরু করেছেন। অব্যাহত ধর্মঘটে গতকালও শিক্ষক-শিক্ষার্থীশূন্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয়। শিবিরের অব্যাহত ধর্মঘটে গতকাল সকালে সমর্থনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বাস ভাংচুর করে। আটক করে পাঁচটি বাস। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি ক্লাস করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার সময় হামলায় আহতের ঘটনায় শিক্ষার্থী-কর্মকর্তারা জীবন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতি তাদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনকে অবহিত করে। তবে এ ব্যাপারে প্রশাসন নীতিগত সিদ্ধান্তে না আসতে পারায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল পৃথক ঘটনায় ২ শিক্ষার্থী এবং ২ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
ক্যাম্পাস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে সমর্থনকারীরা গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর শিবগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় আহত হন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী এম জামিল। বাসে আসার সময় আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও পরিকল্পনা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক এ কে ফেরদৌস এবং সহকারী রেজিস্ট্রার নাজিমউদ্দিন। অপরদিকে সাড়ে ১১টায় টুকেরবাজার এলাকায় অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র বদরুল আলমকে কুপিয়ে জখম করে একদল দুষ্কৃতকারী। আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধর্মঘটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা এরই মধ্যে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রসায়ন, বায়োকেমিস্ট্রি, সিএসই কর্তৃপক্ষ গুটিকয়েক ছাত্র নিয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা নেয়ায় চূড়ান্ত বিপাকে পড়েছেন বিভাগগুলোর শিক্ষার্থীরা। এদিকে ধর্মঘট সমর্থনকারীরা গ্রেফতার আতঙ্কে অনেকটা নীরবে কর্মসূচি পালন করছেন। তবে সংঘর্ষ ও ভাংচুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সব ধরনের নাশকতা এড়াতে ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবির অনির্দিষ্টকালের ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেয়। দাবি আদায় না হলে লাগাতার আন্দোলন চলবে বলে তারা জানিয়েছে।
বগুড়ায় ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলা : বগুড়া অফিস জানিয়েছে, সরকারি আযিযুল হক কলেজে ছাত্রলীগ গতকাল ছাত্রদলের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে ছাত্রদলের ৫ জন আহত হয়েছেন। তবে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাদের দু’জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছাত্রদল কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নেয়। এ অবস্থায় সকাল ১১টায় ছাত্রলীগ মিছিল বের করে বটতলায় এসে অবস্থান নেয়। এরপর দুপুর ১২টায় জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাহাবুল আলম পিপলুর নেতৃত্বে মিছিল বের করলে ছাত্রলীগের মাশরাফি হিরোর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। একপর্যায়ে ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মী আশ্রয় নেয় অধ্যক্ষের কার্যালয়ে। এ সময় ছাত্রলীগ অধ্যক্ষের কার্যালয়ে প্রবেশ করে ছাত্রদলের মাহাবুব আলম শুভ ও সোহেল রানাকে ছুরিকাঘাত করে। এছাড়া কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম জনি, রিপন ও রতনকে মারপিট করে। সাধারণ ছাত্রদের অভিযোগ, ঘটনা চলাকালে পুলিশ ক্যাম্পাসে উপস্থিত থাকলেও নীরব ভূমিকা পালন করেছে।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাহাবুল আলম পিপলু জানান, তাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে হামলা করে ছাত্রলীগ প্রমাণ করেছে তারা সারাদেশে ক্যাম্পাসগুলোতে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। ছাত্রলীগ যদি এ ধরনের কার্যকলাপ করতে থাকে, তাহলে ছাত্রদল বসে থাকবে না। সাধারণ ছাত্রদের নিয়ে তার সমুচিত জবাব দেবে।
কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাসান ডালিম জানান, যুদ্ধাপরাধীর বিচার দ্রুত বাস্তবায়ন ও নবাগত শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মিছিল শেষ করে বটতলায় সমাবেশ করার সময় ছাত্রদল উস্কানিমূলক স্লোগান দেয়। এ সময় দু’পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে ছাত্রলীগ কর্মী বেনজির হোসেন ও সোহাগ মিয়া আহত হয়।
জবিতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষে আহত ২ : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে দু’জন আহত হয়েছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের এক শিক্ষকের বিবাহোত্তর সংবর্ধনায় মিষ্টি বিতরণকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গতকাল সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগ মিলনায়তনে বিভাগীয় শিক্ষক মো. আবু সালেহ সেকেন্দারের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠান শেষে মিষ্টি বিতরণ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আরিফ গ্রুপের রিয়াদ ও বাবর গ্রুপের শাকিলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শাকিল রিয়াদকে মারধর করে। পরে রিয়াদ তার দলীয় কর্মীদের নিয়ে শাকিলকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। আহত শাকিলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর ছাত্রলীগের বিবদমান দু’গ্রুপে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে প্রক্টরের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আন্দোলনের মুখে জাবি প্রক্টরের পদত্যাগ, শিক্ষকদের কর্মসূচি চলবে : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জুবায়ের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক আরজু মিয়া। গতকাল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। এদিকে সব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন জাবির শিক্ষকরা। তবে আজ থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির নেতারা।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে অবস্থান গ্রহণ কর্মসূচি পালন শেষে ভিসি অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের কাছে খুনিদের ছাত্রত্ব বাতিল ও রাষ্ট্রীয় আইনে বিচার, খুনিদের মদতদাতা ও ইন্ধনদাতাদের ছবিসহ নাম প্রকাশ ও বিচার, প্রক্টর ও নিরাপত্তা কর্মকর্তার পদত্যাগ এবং পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল সেন্টার প্রতিষ্ঠার দাবিতে স্মারকলিপি দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ভিসি অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির খুব দ্রুত তাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। বিকালে আবার সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এদিকে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সিনেট হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিজের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন প্রক্টর অধ্যাপক আরজু মিয়া। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এর আগেও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রক্টররা এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধ করতে পারেননি। শিক্ষা কার্যক্রম বজায় রাখা ও আমার প্রাণপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে ওই ন্যক্কারজনক বিবৃৃতি ও পাতানো রাজনৈতিক খেলার প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করে প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক আবুল খায়েরসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রক্টরের পদত্যাগের ঘোষণায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানরত শিক্ষকরা আনন্দ প্রকাশ করেন এবং তাদের অন্যসব দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান। শিক্ষক সমাজের ব্যানারে সাধারণ শিক্ষকরা গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় মুন্নী চত্বর থেকে মৌন মিছিল করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমাবেশ করেছিলেন। পরে তারা বেলা ২টার দিকে সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা জুবায়ের হত্যার বিচারে প্রশাসনের মদতপুষ্ট তদন্ত কমিটি বাতিল করে তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট প্রকাশ ও জুবায়েরের সব খুনিকে চূড়ান্ত শাস্তি দেয়া, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের অপসারণ, গণনিয়োগের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া দলীয় অযোগ্য শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে মারধরকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে শস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে জাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এএ মামুন, সাধারণ সম্পাদক ড. মো. শরিফ উদ্দিন, অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন, অধ্যাপক এমএ মতিন, অধ্যাপক শামছুল আলম সেলিম, অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আজ থেকে তারা ক্লাস শুরু করবেন বলেও জানান।
গত ৯ জানুয়ারি ছাত্রলীগের ক্যাডারদের হাতে জুবায়ের খুন হওয়ার পর থেকে তার হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচার, প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের পদত্যাগ এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে আক্রমণকারী প্রক্টরের বিচার দাবিতে সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন, মিছিল, সমাবেশসহ নানামুখী আন্দোলন করছেন। এ পর্যন্ত ভিসিপন্থী গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মী আশিকুল ইসলাম, মাহবুব আকরাম ও নাজমুস সাকিব তপুকে পুলিশ আটক করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে জড়িত ৩ ছাত্রলীগ ক্যাডারকে। এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নিরাপত্তাহীনতায় শাবি শিক্ষার্থীরা : সিলেট অফিস জানিয়েছে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের একগুঁয়েমিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবন হুমকির সম্মুখীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রক্টর হিমাদ্রী শেখর রায়ের চরম ব্যর্থতায় শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। শিক্ষার্থীরা দিন কাটাচ্ছেন চরম আতঙ্কে। ইতোমধ্যে আবাসিক হল ও ক্যাম্পাসে হামলার আশঙ্কায় সাধারণ ছাত্ররা হল ছাড়তে শুরু করেছেন। অব্যাহত ধর্মঘটে গতকালও শিক্ষক-শিক্ষার্থীশূন্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয়। শিবিরের অব্যাহত ধর্মঘটে গতকাল সকালে সমর্থনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বাস ভাংচুর করে। আটক করে পাঁচটি বাস। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি ক্লাস করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার সময় হামলায় আহতের ঘটনায় শিক্ষার্থী-কর্মকর্তারা জীবন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতি তাদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনকে অবহিত করে। তবে এ ব্যাপারে প্রশাসন নীতিগত সিদ্ধান্তে না আসতে পারায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল পৃথক ঘটনায় ২ শিক্ষার্থী এবং ২ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
ক্যাম্পাস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে সমর্থনকারীরা গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর শিবগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় আহত হন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী এম জামিল। বাসে আসার সময় আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও পরিকল্পনা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক এ কে ফেরদৌস এবং সহকারী রেজিস্ট্রার নাজিমউদ্দিন। অপরদিকে সাড়ে ১১টায় টুকেরবাজার এলাকায় অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র বদরুল আলমকে কুপিয়ে জখম করে একদল দুষ্কৃতকারী। আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধর্মঘটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা এরই মধ্যে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রসায়ন, বায়োকেমিস্ট্রি, সিএসই কর্তৃপক্ষ গুটিকয়েক ছাত্র নিয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা নেয়ায় চূড়ান্ত বিপাকে পড়েছেন বিভাগগুলোর শিক্ষার্থীরা। এদিকে ধর্মঘট সমর্থনকারীরা গ্রেফতার আতঙ্কে অনেকটা নীরবে কর্মসূচি পালন করছেন। তবে সংঘর্ষ ও ভাংচুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সব ধরনের নাশকতা এড়াতে ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবির অনির্দিষ্টকালের ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেয়। দাবি আদায় না হলে লাগাতার আন্দোলন চলবে বলে তারা জানিয়েছে।
বগুড়ায় ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলা : বগুড়া অফিস জানিয়েছে, সরকারি আযিযুল হক কলেজে ছাত্রলীগ গতকাল ছাত্রদলের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে ছাত্রদলের ৫ জন আহত হয়েছেন। তবে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাদের দু’জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছাত্রদল কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নেয়। এ অবস্থায় সকাল ১১টায় ছাত্রলীগ মিছিল বের করে বটতলায় এসে অবস্থান নেয়। এরপর দুপুর ১২টায় জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাহাবুল আলম পিপলুর নেতৃত্বে মিছিল বের করলে ছাত্রলীগের মাশরাফি হিরোর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। একপর্যায়ে ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মী আশ্রয় নেয় অধ্যক্ষের কার্যালয়ে। এ সময় ছাত্রলীগ অধ্যক্ষের কার্যালয়ে প্রবেশ করে ছাত্রদলের মাহাবুব আলম শুভ ও সোহেল রানাকে ছুরিকাঘাত করে। এছাড়া কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম জনি, রিপন ও রতনকে মারপিট করে। সাধারণ ছাত্রদের অভিযোগ, ঘটনা চলাকালে পুলিশ ক্যাম্পাসে উপস্থিত থাকলেও নীরব ভূমিকা পালন করেছে।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাহাবুল আলম পিপলু জানান, তাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে হামলা করে ছাত্রলীগ প্রমাণ করেছে তারা সারাদেশে ক্যাম্পাসগুলোতে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। ছাত্রলীগ যদি এ ধরনের কার্যকলাপ করতে থাকে, তাহলে ছাত্রদল বসে থাকবে না। সাধারণ ছাত্রদের নিয়ে তার সমুচিত জবাব দেবে।
কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাসান ডালিম জানান, যুদ্ধাপরাধীর বিচার দ্রুত বাস্তবায়ন ও নবাগত শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মিছিল শেষ করে বটতলায় সমাবেশ করার সময় ছাত্রদল উস্কানিমূলক স্লোগান দেয়। এ সময় দু’পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে ছাত্রলীগ কর্মী বেনজির হোসেন ও সোহাগ মিয়া আহত হয়।
জবিতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষে আহত ২ : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে দু’জন আহত হয়েছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের এক শিক্ষকের বিবাহোত্তর সংবর্ধনায় মিষ্টি বিতরণকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গতকাল সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগ মিলনায়তনে বিভাগীয় শিক্ষক মো. আবু সালেহ সেকেন্দারের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠান শেষে মিষ্টি বিতরণ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আরিফ গ্রুপের রিয়াদ ও বাবর গ্রুপের শাকিলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শাকিল রিয়াদকে মারধর করে। পরে রিয়াদ তার দলীয় কর্মীদের নিয়ে শাকিলকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। আহত শাকিলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর ছাত্রলীগের বিবদমান দু’গ্রুপে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে প্রক্টরের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।