- ছবি: মনিরুল আলম
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিননামা গ্রহণ করেছেন আদালত। ঢাকার মহানগর হাকিম শাহাদত হোসেন আজ মঙ্গলবার পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তাঁকে জামিননামা জমা দেওয়ার অনুমতি দেন।
দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে খালেদা জিয়া তাঁর দলীয় জ্যেষ্ঠ নেতা ও আইনজীবীদের নিয়ে মহানগর হাকিম শাহাদত হোসেনের আদালতে প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁর পক্ষে উচ্চ আদালতের জামিননামা দাখিল করা হয়। এরপর আদালত তাঁর জামিননামা গ্রহণ করেন।
তিন মিনিটের শুনানি শেষে খালেদা জিয়া আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
গতকাল সোমবার আদালতে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।
বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন: হারিছ চৌধুরী, তাঁর (হারিছ) সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম এবং সাবেক মেয়র সাদেক হোসেনের একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। তবে আসামিদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা আছে কি না, অভিযোগপত্রে তা উল্লেখ করা হয়নি।
তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ প্রথম আলো অনলাইনকে বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে কাকরাইলে জনৈক সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ৪২ কাঠা জমি কেনায় অনিয়ম এবং ট্রাস্টের নামে জমির নামজারি না করার অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুদক।
তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, জমি কেনার জন্য দলীয় তহবিলে জমা দেখানো হয় ছয় কোটি ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ টাকা। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া জমির মালিককে সাত কোটি ৭৭ লাখ টাকার চেক দেন। বাকি এক কোটি ৯০ লাখ ৫০ হাজার টাকা কীভাবে পেলেন, তার কোনো উত্স পাওয়া যায়নি। অভিযোগপত্রে বলা হয়, খালেদা জিয়ার অগোচরে দলীয় তহবিলে এই টাকা জমা হওয়ার কথা নয়। সাক্ষ্যপ্রমাণে দেখা যায়, খালেদা জিয়া ও অন্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অবৈধ উত্স থেকে অর্থ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ব্যয় করেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার সময় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, ‘শহীদ জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ নামের একটি ট্রাস্ট গঠন করেন। খালেদা জিয়ার ওই সময়ে সেনানিবাসের বাসার ঠিকানা ট্রাস্টের ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ট্রাস্টের প্রথম সদস্য খালেদা জিয়া নিজে এবং ট্রাস্টের অপর দুই সদস্য তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো। এই ট্রাস্টের নামে ২০০৫ সালের ৯ জানুয়ারি তেজগাঁও সোনালী ব্যাংকের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলেন খালেদা জিয়া। হিসাব খোলার পর প্রধানমন্ত্রীর দাপ্তরিক ক্ষমতার প্রভাবে বিভিন্ন অবৈধ উত্স থেকে অর্থ সংগ্রহ ও জমা করা হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে ওই ট্রাস্টের নামে কোনো ধরনের কার্যক্রম বা লেনদেন করেননি খালেদা জিয়া।
এদিকে, আজ খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে আদালতে সকাল থেকেই বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা জমায়েত হতে থাকেন। আইনজীবীদের মধ্যে দুটি গ্রুপ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মিছিল করেন।
খালেদার পক্ষে সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, খোরশেদ আলম, মহসীন মিয়াসহ শতাধিক আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশ কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। খালেদা জিয়া আসার আগ পর্যন্ত বিচারপ্রার্থীসহ প্রত্যেক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে খালেদা জিয়া তাঁর দলীয় জ্যেষ্ঠ নেতা ও আইনজীবীদের নিয়ে মহানগর হাকিম শাহাদত হোসেনের আদালতে প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁর পক্ষে উচ্চ আদালতের জামিননামা দাখিল করা হয়। এরপর আদালত তাঁর জামিননামা গ্রহণ করেন।
তিন মিনিটের শুনানি শেষে খালেদা জিয়া আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
গতকাল সোমবার আদালতে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।
বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন: হারিছ চৌধুরী, তাঁর (হারিছ) সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম এবং সাবেক মেয়র সাদেক হোসেনের একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। তবে আসামিদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা আছে কি না, অভিযোগপত্রে তা উল্লেখ করা হয়নি।
তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ প্রথম আলো অনলাইনকে বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে কাকরাইলে জনৈক সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ৪২ কাঠা জমি কেনায় অনিয়ম এবং ট্রাস্টের নামে জমির নামজারি না করার অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুদক।
তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, জমি কেনার জন্য দলীয় তহবিলে জমা দেখানো হয় ছয় কোটি ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ টাকা। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া জমির মালিককে সাত কোটি ৭৭ লাখ টাকার চেক দেন। বাকি এক কোটি ৯০ লাখ ৫০ হাজার টাকা কীভাবে পেলেন, তার কোনো উত্স পাওয়া যায়নি। অভিযোগপত্রে বলা হয়, খালেদা জিয়ার অগোচরে দলীয় তহবিলে এই টাকা জমা হওয়ার কথা নয়। সাক্ষ্যপ্রমাণে দেখা যায়, খালেদা জিয়া ও অন্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অবৈধ উত্স থেকে অর্থ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ব্যয় করেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার সময় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, ‘শহীদ জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ নামের একটি ট্রাস্ট গঠন করেন। খালেদা জিয়ার ওই সময়ে সেনানিবাসের বাসার ঠিকানা ট্রাস্টের ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ট্রাস্টের প্রথম সদস্য খালেদা জিয়া নিজে এবং ট্রাস্টের অপর দুই সদস্য তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো। এই ট্রাস্টের নামে ২০০৫ সালের ৯ জানুয়ারি তেজগাঁও সোনালী ব্যাংকের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলেন খালেদা জিয়া। হিসাব খোলার পর প্রধানমন্ত্রীর দাপ্তরিক ক্ষমতার প্রভাবে বিভিন্ন অবৈধ উত্স থেকে অর্থ সংগ্রহ ও জমা করা হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে ওই ট্রাস্টের নামে কোনো ধরনের কার্যক্রম বা লেনদেন করেননি খালেদা জিয়া।
এদিকে, আজ খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে আদালতে সকাল থেকেই বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা জমায়েত হতে থাকেন। আইনজীবীদের মধ্যে দুটি গ্রুপ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মিছিল করেন।
খালেদার পক্ষে সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, খোরশেদ আলম, মহসীন মিয়াসহ শতাধিক আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশ কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। খালেদা জিয়া আসার আগ পর্যন্ত বিচারপ্রার্থীসহ প্রত্যেক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।