0 মাসিক আয় ২৫ হাজার টাকা : রিমি সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন ১৫ কোটি টাকা

গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনের উপনির্বাচনে চূড়ান্ত লড়াইয়ে থাকা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সিমিন হোসেন রিমির মাসিক আয় ২৫ হাজার টাকা। বার্ষিক তার আয় হচ্ছে ৩ লাখ টাকা। তিনি সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন ১৫ কোটি টাকা। সম্পদের মধ্যে নিজের নগদ অর্থ রয়েছে ৭০ হাজার ৬৫০ টাকা, স্বামী মোশতাক হোসেনের নামে রয়েছে ২ লাখ ৯০ হাজার ৭০০ টাকা। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় রিমি এ তথ্য দিয়েছেন। খবর নিউজমিডিয়াবিডিডটকমের।
হলফনামায় রিমি আরও জানান, ব্যাংকে তার নামে রয়েছে ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৮৫ টাকা, স্বামীর নামে আছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৫৮৮ টাকা। বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার নিজ নামে ৪০ লাখ টাকা, স্বামীর নামে ৫০ লাখ টাকা রয়েছে। তার স্বর্ণালংকার নিজ নামে ৯০ হাজার
টাকা, স্বামীর নামে ২০ হাজার টাকা। তার স্বামীর নামে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার টাকার। আসবাবপত্র নিজ নামে ৫০ হাজার টাকা ও স্বামীর নামে ৪০ হাজার টাকার রয়েছে।
স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজ নামে ধানমন্ডির পৈতৃক বাড়িতে ৩ হাজার ৬৪০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, বনানীর ডিওএইচএসে স্বামীর নামে রয়েছে নির্মাণাধীন ফ্ল্যাট। কাঁচাপাট রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান দি গোল্ডেন ফাইবার ট্রেড সেন্টার লিমিটেডের অনুকূলে রিমির নামে সোনালী ব্যাংক মতিঝিল লোকাল অফিসে ১৫ কোটি টাকার সি.সি. লিমিট ঋণ রয়েছে।
উল্লেখ্য, সিমিন হোসেন রিমির উল্লেখিত হলফনামায় তার মাসিক ২৫ হাজার টাকা হিসেবে বার্ষিক আয় দাঁড়ায় ৩ লাখ টাকা। যা একজন মধ্য আয়ের মানুষের আয়ের চেয়েও কম। অথচ তিনি তার কাঁচাপাট রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান দি গোল্ডেন ফাইবার ট্রেড সেন্টার লিমিটেডের অনুকূলে সোনালী ব্যাংক লি., মতিঝিল লোকাল অফিস থেকে ১৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। রিমি তার রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো আয় আসছে কিনা তা হিসাব বিবরণীতে উল্লেখ করেননি। বিবরণীতে আয় বা লোকসানের কথা উল্লেখ না করায় এখানেও তিনি কিছু একটা আড়াল করার চেষ্টা করেছেন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। আর সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দলীয় প্রভাবে নাকি উপযুক্ত সম্পদের অনুকূলে ১৫ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে।
অপরদিকে গাজীপুর-৪ আসনের উপনির্বাচনে রিমির প্রতিদ্বন্দ্বী তার চাচা অ্যাডভোকেট আফসার উদ্দিন আহমদ তার হলফনামায় উল্লেখ করেন, তার আয়ের উত্স কৃষিখাতে মাসিক ৫ হাজার টাকা। বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান অন্যান্য মিলে বার্ষিক আয় ৩৭ লাখ ৩৮ হাজার ৯৮ টাকা। তার নিজ নামে নগদ অর্থ ৮ লাখ ৩৯ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা আছে ৬১ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর নামে ব্যাংকে রয়েছে ১২ হাজার টাকা এবং ৬ লাখ টাকা দামের টয়োটা গাড়ি। নিজ নামে অর্জনকালীন সময়ের মূল্যে ৫শ’ টাকার স্বর্ণালংকার রয়েছে, তার স্ত্রীর নামে ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে যার অর্জনকালীন মূল্য ২৫ হাজার টাকা। আসবাবপত্রের মূল্য নিজ নামে এক হাজার টাকা, কৃষি জমি পৈতৃক সূত্রে পাওয়া নিজ নামে সাড়ে ৯ একর, যার অর্জনকালীন সময়ের মূল্য আড়াই হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ৪ একর। তার নামে অকৃষি জমি রয়েছে ৩ একর যা পৈতৃক সূত্রে পাওয়া। নিজ নামে দুটি বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে, যার মূল্য ৫২ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।
 

BANGLADESHI UPDATE NEWS Copyright © 2011 - |- Template created by O Pregador - |- Powered by Blogger Templates