জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাপাতি নিয়ে অ্যাকশনে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপ : আহত ২০
জবি প্রতিনিধি

চাঁদাবাজির ঘটনাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের
দু’গ্রুপের মধ্যে গতকাল ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
ছাত্রলীগ কর্মীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে একে অন্যের ওপর হামলা চালায়। তারা
তিনটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। ধারালো অস্ত্র হাতে ছাত্রলীগ কর্মীরা দুই
দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হলেও কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের নীরব দর্শকের ভূমিকা
পালন করতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের
স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা বিরাজ
করছে। যে কোনো সময়ে আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা
জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম আকন্দ গ্রুপের
সক্রিয় কর্মী নয়ন গত সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আরামবাগ হোটেলে
মাগুরা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভা চলা অবস্থায় তাদের কাছে চাঁদা দাবি
করেন। এ সময় ওই সভায় উপস্থিত ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার
আরিফুজ্জামান গ্রুপের কর্মীরা বাধা দেয়। এতে নয়নের সঙ্গে তাদের হাতাহাতির
ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার জেরে গতকাল সকাল ১১টায় আরিফ গ্রুপের কর্মীরা ক্যাম্পাসে শোডাউন করে। দুপুর সাড়ে ১২টায় সাইফুল গ্রুপের শতাধিক কর্মী ক্যাম্পাসে পাল্টা মহড়া দেয়। এতে উভয়পক্ষের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় দু’গ্রুপের মধ্যে প্রথম দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আধ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের পর আরিফ গ্রুপের কর্মীরা সাইফুল গ্রুপের কর্মীদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়ে ক্যাম্পাস দখলে নেয়। ওই সংঘর্ষে আবু কাউছার, তমাল, অলিউর, রাজন, রুবেলসহ উভয়পক্ষের ১২ জন কর্মী আহত হয়। পরে দুপুর দেড়টায় সাইফুল গ্রুপের কর্মীরা ক্যাম্পাসের বাইর থেকে সংগঠিত হয়ে রামদা, কিরিচ, চাপাতি, লাঠিসোঁটায় সজ্জিত হয়ে পেছনের গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে এবং শহীদ মিনারের সামনে অবস্থানরত আরিফ গ্রুপের কর্মীদের ওপর হামলা করে। এতে সৌরভ, আলামিন, কাননসহ ৮ জন কর্মী আহত হয়। এ সময় টিকতে না পেরে আরিফ গ্রুপের কর্মীরা দৌড়ে গিয়ে কলাভবনে আশ্রয় নেয়। সাইফুল গ্রুপের কর্মীরা ক্যাম্পাস দখলে নেয় এবং কলাভবনে আরিফ গ্রুপের কর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় সাইফুল গ্রুপের কর্মীরা ঢাকা মেট্রো ল-১৯১১৩১, ঢাকা মেট্রো ল-১৫৮৬৩৫, ঢাকা মেট্রো ল-১৪৩৪০৪ নম্বরের ৩টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।
এদিকে দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা পর বেলা ২টায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যায়। তারা জবি ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের নিয়ে প্রক্টর অফিসে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে ছাত্রলীগ সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ জানায়, কিছু দুষ্কৃৃতকারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তারা ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে। এসব ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ঘটনার জেরে গতকাল সকাল ১১টায় আরিফ গ্রুপের কর্মীরা ক্যাম্পাসে শোডাউন করে। দুপুর সাড়ে ১২টায় সাইফুল গ্রুপের শতাধিক কর্মী ক্যাম্পাসে পাল্টা মহড়া দেয়। এতে উভয়পক্ষের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় দু’গ্রুপের মধ্যে প্রথম দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আধ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের পর আরিফ গ্রুপের কর্মীরা সাইফুল গ্রুপের কর্মীদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়ে ক্যাম্পাস দখলে নেয়। ওই সংঘর্ষে আবু কাউছার, তমাল, অলিউর, রাজন, রুবেলসহ উভয়পক্ষের ১২ জন কর্মী আহত হয়। পরে দুপুর দেড়টায় সাইফুল গ্রুপের কর্মীরা ক্যাম্পাসের বাইর থেকে সংগঠিত হয়ে রামদা, কিরিচ, চাপাতি, লাঠিসোঁটায় সজ্জিত হয়ে পেছনের গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে এবং শহীদ মিনারের সামনে অবস্থানরত আরিফ গ্রুপের কর্মীদের ওপর হামলা করে। এতে সৌরভ, আলামিন, কাননসহ ৮ জন কর্মী আহত হয়। এ সময় টিকতে না পেরে আরিফ গ্রুপের কর্মীরা দৌড়ে গিয়ে কলাভবনে আশ্রয় নেয়। সাইফুল গ্রুপের কর্মীরা ক্যাম্পাস দখলে নেয় এবং কলাভবনে আরিফ গ্রুপের কর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় সাইফুল গ্রুপের কর্মীরা ঢাকা মেট্রো ল-১৯১১৩১, ঢাকা মেট্রো ল-১৫৮৬৩৫, ঢাকা মেট্রো ল-১৪৩৪০৪ নম্বরের ৩টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।
এদিকে দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা পর বেলা ২টায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যায়। তারা জবি ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের নিয়ে প্রক্টর অফিসে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে ছাত্রলীগ সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ জানায়, কিছু দুষ্কৃৃতকারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তারা ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে। এসব ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।